কলকাতা, 28 জুলাই:কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের প্রত্যেকের ফাঁসির দাবিতে নতুন করে দায়ের হয়েছিল মামলা ৷ কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে শুক্রবার ৷ তবে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে এদিন রায়দান এদিন স্থগিত রেখেছে। যদিও এই দীর্ঘ শুনানিতে খানিক অসন্তুষ্ট ধর্ষিতার পরিজনরা ৷
2013 সালে উত্তর 24 পরগনার কামদুনিতে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল এক তরুণীকে। 2016 সালে ব্যাঙ্কশাল আদালত দোষীদের ছ’জনের মধ্যে তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং তিন জনের ফাঁসির নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন মৃতের পক্ষে মৌসুমি কয়াল, টুম্পা কয়ালরা । তাদের দাবি ঘটনায় জড়িত সব আসামীকেই সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দীর্ঘদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।
এদিন মামলার শুনানি শেষে অবশ্য রায়দান স্থগিত রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ। 2013 সালের 7 জুন ডিরোজিও কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী পরীক্ষা সেরে বাড়ি ফেরার পথে নিজের এলাকাতেই গণধর্ষণের স্বীকার হন। ধর্ষণের পর তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করা হয় বলেও অভিযোগ ৷ পরে একটি পরিত্যাক্ত জায়গায় অনেক রাতে তরুণীর ব্যাগ আর ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হয় ৷ তারপর ওই তরুণীর সহপাঠী ও গ্রামবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সুবিচারের আশায় ৷ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শেষে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তারা ৷
আরও পড়ুন: রামনবমী মামলায় এনআইএ তদন্ত ঠেকাতে মরিয়া রাজ্য, আবেদনই শুনলেন না বিচারপতি
এদিন টুম্পা কয়াল, মৌসুমি কয়ালরা হাইকোর্টে জানান, দিল্লীতে নির্ভয়া কাণ্ডের পর যে রকম দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়েছিল, কামদুনির ক্ষেত্রেও যেন তাই হয়। হাইকোর্টে প্রত্যেক আসামীরই ফাঁসি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন বলেও জানান তাঁরা ৷ 2013 সালের ঘটনা, এরপর এখন 2023 সাল চলছে ৷ এখনও দোষীদের কোনও সাজা হয়নি বলেও অভিযোগ তাদের।