কলকাতা, 29 এপ্রিল : লকডাউনের জেরে এক মাস পেরিয়ে গেলেও বন্ধ যাত্রী পরিবহন পরিষেবা । যার জেরে আর পাঁচটা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের মতোই সমস্যায় পড়েছেন যাত্রী পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন । পথে বসতে চলেছে একাধিক পরিবার । এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি শিল্পের স্বীকৃতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ বাস সংগঠন ।
লকডাউন পরিস্থিতিতে কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় সব ক্ষেত্রই । আয় বন্ধ । এমন বহু পরিবার আছে যাদের কার্যত অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে । কবে কোরোনা পরিস্থিতি থেকে সুস্থ হবে রাজ্য, কবে সুস্থ হবে দেশ কেউ জানেন না । এই পরিস্থিতিতে যাত্রী পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের অবস্থাও পথে বসার মতো । বিভিন্ন ধরনের করের বোঝা, লোনের বোঝায় জর্জরিত তাঁরা ।
অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় এবিষয়ে বলেন, "আমরা সব ধরনের কর যেমন রোড ট্যাক্স, রেজিস্ট্রেশন ফি, ইন্সিওরেন্স প্রিমিয়াম, পারমিট ফি, প্রফেশনাল ট্যাক্সসহ আরও অন্যান্য ট্যাক্স দিয়ে সব নিয়ম মেনে তবেই একটি নতুন গাড়ি রাস্তায় বের করতে পারি । পাশাপাশি অনেক সময় আমরা ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি শিল্পের স্কিমে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাই । আমরা গণপরিবহনের কর্মীদের জন্য বারবারই সহায়তার আর্জি জানিয়েছি । কিন্তু তাতে তেমন কোনও লাভই হয়নি । তাই এই কোরোনা পরিস্থিতি আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে । আমরা চাই যে যাত্রী পরিবহনকেও MSME শিল্পের আওতায় নিয়ে এসে শিল্পের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হোক ।"
যাত্রী পরিবহনের উপর যেমন লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভর করছে, তেমনই পরিবহন ছাড়া সাধারণ মানুষের পক্ষেও যাতায়াত করা প্রায় অসম্ভব । সারা রাজ্যের রেজিস্টার্ড বাসের সংখ্যা প্রায় 49 হাজার । তবে পথে চলাচল করে এমন বাসের সংখ্যা 26 হাজার । এই 26 হাজার বাসের সঙ্গে যুক্ত মানুষের সংখ্যাটাও কম নয় । বর্তমানে তাঁদের বেশিরভাগই রোজগারহীন । গতকাল তাই বাস সংগঠনের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিবহন দপ্তরে যাত্রী পরিবহনকে MSME-র আওতায় নিয়ে আসার আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে ।