পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

মেরামতির খরচ প্রচুর, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সাহায্যের আর্জি বাস মালিকদের - লকডাউনের পরেও ক্ষতির আশঙ্কায় বাস মালিকরা

বাস অনেকদিন না চললে তার ব্যাটারি ও টায়ার টিউব বসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । ফলে লকডাউন ওঠার পর যদি পুনরায় বাস চালাতে হয় তাহলে আগে তার মেরমতির প্রয়োজন । তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সাহায্যের আর্জি বাস মালিকদের ।

Bus owners
বাস মালিক

By

Published : Apr 25, 2020, 7:49 AM IST

কলকাতা, 25 এপ্রিল : লকডাউনের মেয়াদ বেড়েছে । এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মানুষ গৃহবন্দী । দোকানপাট থেকে শুরু করে বাস, ট্রাম, ট্রাক্সি-সহ সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ । ফলে আর পাঁচজনের মতো আয় হচ্ছে না বাস মালিকদেরও । ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে । অন্যদিকে এতদিন বাস না চলায় টায়ার-টিউব ও ব্যাটারি বসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । আর সেটাই এই বাস মালিকদের চিন্তাকে দ্বিগুণ করে দিয়েছে । কারণ লকডাউন ওঠার পর যদি পুনরায় বাস চালাতে হয় তাহলে আগে তার মেরমতির প্রয়োজন হবে । কিন্তু লকডাউনের ফলে বাস মালিকদের পকেটেও টান পড়েছে । তাই মেরামত করে পুনরায় বাস চালাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্যের আর্জি জানালেন বাস মালিকরা ।

অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বাসগুলি অনেকদিন না চলায় ব্যাটারির সেলগুলি নষ্ট হয়ে যাবে । এর ফলে ব্যাটারি অকেজো হয়ে পড়বে । ইতিমধ্যেই এক মাস অতিক্রান্ত হয়েছে । লকডাউন যদি আরও কিছুদিন চলে তাহলে এরপর গাড়ি আর চালু হতে চাইবে না । তখন পুরানোটা বদলে নতুন ব্যাটারি লাগাতে হবে । অন্যদিকে বাস অনেকদিন বসে থাকলে টায়ারেরও ক্ষতি হয় । ধীরে ধীরে টায়ারের হাওয়া কমতে থাকে ও টিউবগুলি নষ্ট হয়ে যায় । এছাড়া গাড়িতে প্রচুর রাবারের জিনিসপত্র থাকে । বাস না চললে সেগুলিও ক্রমে শক্ত হয়ে গিয়ে অকেজো হয়ে যাবে । বাসের উপর যে টিনের আস্তরণ থাকে তাতে নিয়মিত গ্রিজ় করা হয় । এই মুহূর্তে সেটাও হচ্ছে না । তাই রোদ ও বৃষ্টির জল লেগে সেগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে । এক একটি ব্যাটারির দাম 10 থেকে 12 হাজার টাকা । দু'টি ব্যাটারির ক্ষেত্রে টাকা দাঁড়ায় 16 থেকে 18 হাজার । তাই অন্যান্য দাবির মধ্যে পুনরায় বাস পথে নামানোর জন্য 2 লাখ টাকার অগ্রিম সাহায্যর অনুরোধ করা হয়েছে ।

জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , "ভারতে কৃষিকাজের পরেই গণপরিবহনে কর্মীর সংখ্যা অনেক বেশি । কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন স্তরে আর্থিক সাহায্য বা রিলিফের ঘোষণা করলেও গণপরিবহনের ক্ষেত্রে এখনও তেমন কোনও প্যাকেজের ঘোষণা করেনি । তাই এটা আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জি যে তারা যেন গণপরিবহনের শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে দ্রুত এমন একটি আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করে যাতে আমাদের সত্যিই উপকার হবে । প্রতি মাসে একটি বাস চলুক বা না চলুক বিভিন্ন খাতে মালিকদের 40 থেকে 50 হাজার টাকা দিতে হয় । তাই দু মাস বা তার বেশি যদি বাসগুলি না চলে তাহলে ব্যাপক আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়তে হবে বাস মালিকদের ।"

মিনিবাস অপারেটর কো-অর্ডিনেশন কমিটির সেক্রেটারি স্বপন ঘোষ বলেন , " লকডাউন উঠে গেলে গাড়িগুলিকে পথে নামাতে গেলে প্রায় 20 থেকে 25 হাজার টাকা খরচ হয়ে যাবে । এরপর আসবে CF সহ আরও অন্যান্য কর দেওয়ার পালা । তাই সব মিলিয়ে একটি গাড়িকে পথে নামাতে গেলে খরচ লক্ষাধিক । এমনিতেই এখন আয় বন্ধ হয়ে রয়েছে । আমরা কোথা থেকে এত টাকা জোগাড় করব ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details