পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

সীমান্তে অপরাধ রুখতে যৌথ পদক্ষেপ BSF-BGB-র

রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হল দুই দেশের সীমানা বরাবর অপরাধের তথ্য বণ্টনের বিষয়টিও ৷ এর ফলে সীমানা বরাবর অপরাধীদের পাকড়াও করা অনেক বেশি সহজ হবে, জানান দুই দেশের প্রতিনিধি৷

সীমান্তে অপরাধ রুখতে যৌথ পদক্ষেপ BSF-BGB-র

By

Published : Oct 6, 2019, 6:50 PM IST

কলকাতা, 6 অক্টোবর: গত সাত মাসে বাংলাদেশে গরু পাচার 40 শতাংশ কমে গিয়েছে । ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর গবাদি পশু পাচারের হার কমেছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে । রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হল একথাই ৷ BSF ও BGB-এর সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে চারদিনের সম্মেলন ছিল৷ কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে এই সম্মেলন চলছিল ৷ সম্মেলনের শেষদিন অর্থাৎ রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হল দুই দেশের সীমানা বরাবর অপরাধের তথ্য বণ্টনের বিষয়টিও ৷ এর ফলে সীমানা বরাবর অপরাধীদের পাকড়াও করা অনেক বেশি সহজ হবে, জানান দুই দেশের প্রতিনিধি ৷

গবাদি পশু পাচার বন্ধ করার জন্য কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের কথা আলোচনা হয়েছে এই সম্মেলনে । দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে দফায় দফায় বৈঠকে উঠে এসছে পারস্পরিক সহযোগিতার কথা । BSF-এর ইনস্পেক্টর জেনারেল সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার যোগেশ বাহাদুর খুরানিয়া বলেন, ''মাসে অন্তত একবার বৈঠকের প্রয়োজন দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ।'' পরিস্থিতি অনুযায়ী এই ধরনের বৈঠকের প্রয়োজনের কথা বলেন তিনি ।

গরু পাচার রোধের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? এই প্রসঙ্গে BGB-র যশোর সাউথ ওয়েস্ট রিজিয়নের কমান্ডার অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল মোঃ জালাল গনি খান বলেন, "সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সূত্র । ভারতীয় সীমান্তের মধ্যে রয়েছে সূত্র ৷'' একই সঙ্গে তিনি বলেন, "সূত্র থেকে যাতে সরবরাহ না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে BSF। আমরা ফল পাচ্ছি । তথ্য দেখলে বোঝা যাচ্ছে গত সাত মাসে 40 শতাংশ কমে গিয়েছে পাচার । আরও কমবে ।" ভারতীয় গরু বাংলাদেশে গেলে, বাংলাদেশের কৃষিজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, একথাও বলেন তিনি ।

যশোহর সাউথ ওয়েস্ট রিজিয়নের কমান্ডার অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল মোঃ জালাল গনি খান বলেন, "ভারতীয় সীমানার পারে যারা গরু পাচারের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তাদের নাম আমরা BSF-কে দিচ্ছি । BSF ব্যবস্থা নিচ্ছে । আমাদের দেশে যারা এ কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছি ।" তিনি বলেন, "আমাদের দেশে কৃষিকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে । আমাদের গরুর ঘাটতি নেই ।"

মোঃ জালাল গনি খান বলেন, "বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে । BSF-এর তরফে গরু পাচার আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল । আমাদের তরফে ছিল মাদক । এটা তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে । উভয় দেশ এই কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । এর সঙ্গে রয়েছে সীমান্তে হত্যা ।"

ইনস্পেক্টরস জেনারেল অফ বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF) এবং রিজিয়ন কমান্ডারস অফ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (BGB)-এর মধ্যে কলকাতায় চারদিনের সীমান্ত সহযোগিতার এই সম্মেলন শেষ হল রবিবার । এই সম্মেলনে BSF-এর প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন যোগেশ বাহাদুর খুরানিয়া এবং BGB প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মোঃ জালাল গনি খান ৷

ভারত এবং বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং বোঝাপড়ার বিষয়টিকে উন্নত করার কারণেই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল । উভয় দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রেখে সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের বিষয়টি নিয়েও এই সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে । এই সমস্যার মধ্যে রয়েছে গবাদি পশু পাচার, মাদক পাচার, অস্ত্র, সোনা পাচার, জাল নোটের ব্যবসা (ভারতীয়), দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা সহ সীমান্ত এলাকায় অনাকাক্ষ্খিত প্রাণহানি নিয়েও কথা হয়েছে বৈঠকে । 3 অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিল এই সম্মেলন । দুই দেশের সীমান্তে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য অন্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে । নিজেদের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদান এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সব সমস্যা সমাধানের জন্য দুই তরফের প্রতিনিধিদল সহমত হয়েছে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details