কলকাতা, 25 ডিসেম্বর: নতুন বছর সবসময়ই নতুন আশা নিয়ে আসে ৷ কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের জন্য আসন্ন নতুন বছর খুব একটা সুখকর হবে না বলেই মনে করছেন পরিবেশবিদরা ৷ বিশেষত, কলকাতা শহরের জন্য ৷ দূষণের দিক থেকে । এবছর কলকাতার বাতাসে দূষণের (Kolkata Air Pollution) মাত্রা শহরবাসীর জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা (Breathless Kolkata All Set to Beat Delhi Air Pollution Record) ৷ তবে, শুধু কলকাতা নয় ৷ শহর সংলগ্ন মূলত শিল্পাঞ্চলগুলিতে দূষণের মাত্রা আরও বাড়বে ৷ যা দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যাবে ৷
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কলকাতার গড় দূষণের মাত্রা রাজধানী দিল্লিকেও ছাপিয়ে যেতে পারে ৷ অস্বাভাবিক শোনালেও এটাই সত্যি ৷ আর এই সংকেত গত নভেম্বর মাসেই পাওয়া গিয়েছিল ৷ গত মাসে কলকাতার বাতাসে দূষণের মাত্রা খুবই বেশি ছিল ৷ সেই সময় দিল্লির দূষণও এতটা বেশি ছিল না ৷ এনিয়ে পরিবেশবিদদের সঙ্গে কথা বলে আইএএনএস ৷ সেই মতো বিপদের কারণ ও তার থেকে বাঁচার কী উপায়, তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা করা হয় ৷
সম্প্রতি প্রকাশিত এইচইআই সোগা’র সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজধানী দিল্লির পর কলকাতা বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর ৷ আর সেখানে এও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, একটা সময় কলকাতার বাতাসে দূষণের মাত্রা দিল্লির থেকেও বেশি হয়ে যেতে পারে ৷
ডিসেম্বরের 12 ও 13 তারিখ কলকাতার বাতাসে দূষণের মাত্রা দিল্লির থেকে বেশি ছিল ৷ সূচক অনুযায়ী ওই দুইদিন কলকাতার বাতাসে দূষণের মাত্রা 300’র বেশি ছিল ৷ যা খুবই ভয়াবহ বলে নির্ধারিত হয় ৷ যেখানে 12 ও 13 ডিসেম্বর দিল্লির পরিস্থিতি অস্বাস্থ্যকর ছিল ৷ এনিয়ে পরিবেশবিদ সোমেন্দ্রমোহন ঘোষ বলেন, "এটা বিপদের সংকেত ৷ দিল্লির বাসাতের গুণমান সূচক এভাবেই একটা সময় খারাপ পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিয়েছিল ৷ সেখান থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে ৷ এবার কলকাতার পরিস্থিতিও খারাপ হবে যদি না প্রশাসনের তরফে দূষণরোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয় ৷ আর এই পরিস্থিতিতে আগামী বছরে না হলেও, ভবিষ্যতে পুরো রাজ্যে দূষণের মাত্রা বাড়বে ৷"
আরও পড়ুন:তিলোত্তমার বায়ুদূষণ রোধে 20টি নতুন ওয়াটার স্প্রিঙ্কলা গাড়ি
সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গে সব তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে সালফার ডাইঅক্সাইড নির্গমনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নির্দিষ্টমান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল 2015 সালে ৷ কিন্তু, সেই নির্ধারিত মাত্রা কোনও ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না ৷ যা রাজ্যের বায়ুদূষণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷