কলকাতা, 24 মার্চ: "সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না ৷ তিনি যে কলেজে চাকরি করতেন, তাও এতদিন জানতাম না ৷ তবে, ওঁর চাকরি বেআইনিভাবে হয়েছিল কিনা, সেটা স্পষ্ট নয় ৷ আমরা মনে করি, এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত হওয়া দরকার ৷" শুক্রবার আয়োজিত একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবেই বাম আমলে শিক্ষাক্ষেত্রে সম্ভাব্য নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu on Recruitment Scam during Left Front Government) ৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, সুজনের স্ত্রী চাকরি থেকে অবসর নেন 2021 সালে ৷ অর্থাৎ, তৃণমূল জমানাতেও তিনি কলেজের চাকরি করে বেতন নিয়েছেন এবং বর্তমানে তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগী প্রৌঢ়া ৷ তাই তাঁর বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ৷
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই বাম আমলের শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল শিবির ৷ এ নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের বর্তমান সেচমন্ত্রী এবং প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ৷ আওয়াজ তুলেছেন তৃণমূলের অন্যতম প্রথম সারির নেতা কুণাল ঘোষ ৷ শুক্রবার ব্রাত্য এই প্রসঙ্গে জানান, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তাঁকে চিঠি দিয়েছেন সেচমন্ত্রী ৷ তার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য তাঁর হাতে এসেছে ৷ তা দেখে বোঝা যাচ্ছে না, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী আদৌ পরীক্ষা দিয়ে কলেজের চাকরি পেয়েছিলেন কিনা ! কিন্তু, তিনি চাকরি পেয়েছিলেন 1987 সালে ৷ সেই সময় দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা সিপিএমের অন্দরেই এ নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল ! বিষয়টি নিয়ে খবরের কাগজে লেখালিখিও হয়েছিল ৷ রাজ্য়ের বর্তমান সরকার সেইসব খবরের কাগজের কাটিং জোগাড় করছে !