কলকাতা, 8 সেপ্টেম্বর:রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷ এই বৈঠকে রাজ্যের 31টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এদিন যোগ দেন 12 জন রেজিস্ট্রার ৷ আর এই বিষয়টি তুলে ধরেই এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উদ্দেশ্যে পালটা আক্রমণ শানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবসু ৷ তিনি বলেন, "তাহলে কে রেজিস্ট্রারদের হুমকি দিচ্ছেন?" রাজ্যপাল এক ভিডিয়ো বার্তায় বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছিলেন, পদত্যাগকারী 5 প্রাক্তন উপচার্যকে দুষ্কৃতীদের দিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে ৷ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা তাঁদের হুমকি দেন ৷ তারপরেই তাঁরা পদত্যাগ করেন ৷
রাজ্যপাল তথা রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস উপাচার্যদের ভয় দেখানোর যে অভিযোগ কার্যত তুলেছিলেন রাজ্যের বিরুদ্ধে, এদিন ঘুরিয়ে সেই অভিযোগকে অস্ত্র করে পালটা আক্রমণ শানিয়েছেন ব্রাত্য বসু ৷ রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে বৈঠক করার পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যরা বলছেন রাজভবন থেকে বলা হয়েছে রেজিস্ট্রাররা যেন এই মিটিংয়ে না আসেন । তাই আধিকারিক হয়েও সেই নির্দেশকে উপেক্ষা করে এই মিটিংয়ে যোগ দেওয়ার সাহস পাননি তাঁরা । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার উচ্চশিক্ষার জন্য অনেক কিছু করেছেন । যাঁরা সেটা মনে রেখে চান,তারাই এই মিটিংয়ে যোগ দিয়েছেন ।" এরপরেই তিনি রাজ্যপালকে নিশানা করে প্রশ্ন করেছেন, "হুমকির বাতাবরণ তৈরি করছে কে? হাড়হিম করা ঠাণ্ডাসন্ত্রাস তৈরি করছে কে? কে তাহলে ভয় দেখছে? রাজার বাড়ি নাকি বিকাশ ভবন?" তবে শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, এদিন শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে যে সমস্ত রেজিস্ট্রাররা যোগ দেননি তাঁদেরকে শোকজ করা হতে পারে দফতরের তরফে ৷
এদিন শিক্ষামন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যোগ দেন আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়, পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়, ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়, কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, মহাত্মা গান্ধি বিশ্ববিদ্যালয়, মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়, রানিগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রাররা ৷ তবে যোগ দেননি রাজ্যের বাকি 19টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রাররা ৷ এদের মধ্যে আছেন প্রেসিডেন্সি, কলকাতা, রবীন্দ্র ভারতী, উত্তরবঙ্গ, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রাররা ৷