কলকাতা, 17 জুন: প্রোমোটারের সঙ্গে বিবাদ ৷ আর তারপরই নিখোঁজ প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার হল নদী থেকে ৷ জানা গিয়েছে, দিনতিনেক আগে হরিদেবপুরের বাড়ি থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান গৌতম ঘোষ (62) ৷ শনিবার তাঁর দেহ উদ্ধার হয় ওয়েস্ট পোর্টের নাজিরগঞ্জ সদর কুটিঘাটের কাছে হুগলি নদী থেকে ৷ দেহ সনাক্ত করেন গৌতমবাবুর মেয়ে এবং স্ত্রী ৷
প্রৌঢ়ের পরিবারের অভিযোগ, কয়েকদিন আগেই প্রমোটারের সঙ্গে বচসা হয় ওই প্রৌঢ়ের ৷ এরপরই তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ৷ হরিদেবপুর থানায় নিখোঁজ অভিযোগও দায়ের করে প্রৌঢ়ের পরিবার ৷ শেষে শনিবার গৌতম ঘোষের দেহ মেলার পর হরিদেবপুর থানায় তাঁর মেয়ে কাকা তপন ঘোষ এবং দুই প্রোমোটারের নামে লিখিত অভিযোগ করেন ৷ দুই প্রোমোটারকে গ্রেফতার করে হরিদেবপুর থানার পুলিশ ৷ দেহ উদ্ধারের পর প্রমোটার-সহ তপন ঘোষকেও গ্রেফতার করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ ৷ তিনজনকেই আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, গৌতম ঘোষের একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে ৷ সেই সুইসাইড নোটেও প্রমোটারদের পাশাপাশি নিজের ভাইকেও দায়ী করেন ওই প্রৌঢ় ৷ গৌতমবাবুর স্ত্রী ও মেয়ের অভিয়োগ, দিনকয়েক আগে গৌতম ঘোষ এই প্রোমোটারদের সঙ্গে একটি মিটিংয়ে গিয়েছিলেন ৷ তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ জানা গিয়েছে, গৌতম ঘোষের ছোট ভাই তপন সই করলেও তিনি কোনও কাগজে সই করেননি ৷ গৌতমবাবুর মেয়ের অভিযোগ, ছোট ভাই তপন ঘোষ আগেই এই জমি লিখে দিয়েছিলেন দুই প্রোমোটারকে ৷ কিন্তু গৌতম ঘোষ সই করেননি ৷ আর জমি বিবাদের জেরে প্রৌঢ়কে মিটিংয়ে নিয়ে যাওয়ার নাম করে তপন ঘোষ ও দুই প্রোমোটার খুন করা হয় বলে অভিযোগ গৌতমবাবুর স্ত্রী ও দুই মেয়ের ৷
আরও পড়ুন:দিদির হেনস্তার প্রতিবাদ করায় অন্ধ্রপ্রদেশে নাবালককে পুড়িয়ে হত্যা
তদন্তে নেমে গৌতম ঘোষের মোবাইল ফোন এবং সুইসাইড নোট বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ ৷ তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, পরিবারের তরফে অভিযোগ পাওয়ার পরই হরিদেবপুর থানা তদন্তে নামে ৷ এরপর নদী থেকে উদ্ধার হয় প্রৌঢ়ের দেহ ৷ পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে দেহ ৷ পুলিশের দাবি, ময়নাতদন্তের পরই স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ কী ৷