নিউটাউন, 23 ডিসেম্বর : ঘড়িতে তখন প্রায় 10 টা ৷ শীতের দাপটে নিউটাউনে তখন প্রায় মধ্যরাত ৷ রাস্তা ঘাট সম্পূর্ণ ফাঁকা ৷ এই সময় বেজে উঠল টেকনোসিটি থানার ফোনের ঘন্টি ৷ ফোনের ওপার থেকে জানানো হয় নিউটাউনের ডিডি ব্লকের একটি হোটেলে খুন হয়েছেন এক যুবতি ৷ খবর পেয়েই দুই কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে ছুটলেন সিনিয়র ইন্সপেক্টর সৌমিত্র ঘোষ ৷
যখন ওই হোটের সামনে পৌঁছে গাড়ির চাকা থামল ঘড়ির ছোটো কাঁটা প্রায় 11 টা ছুঁইছুঁই ৷ গাড়ি থেকে নেমে হোটেলে ঢুকলেই টেকনোসিটি থানার ওই সিনিয়র ইন্সপেক্টর ৷ হোটেলের এক কর্মী তাঁদের রাস্তা দেখিয়ে নিয়ে গেলেন দোতলার একটি ঘরে ৷ রুম নম্বর 201 ৷ দরজায় তখনও ঝুলছে মাস্টার চাবি ৷ দরজাটা হাত দিয়ে সামান্য ঠেলতেই দেখাগেল বিছানার উপর পড়ে রয়েছে নগ্ন যুবতির দেহ ৷ ধারাল কিছু দিয়ে বারবার আঘাতের দাগ স্পষ্ট শরীরে ৷ সেখান থেকে ক্রমাগত রক্ত বেরচ্ছে ৷ বিছানার সাদা চাদর মিলে গিয়েছে রক্তের লাল রঙে ৷ ওই ঘরের এক কোণে পড়ে রয়েছে বিয়ারের ভাঙা বোতলের টুকরো ৷ সেটি দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে খুনের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে সেটি ৷ পুলিশি পরিভাষায় যা "মার্ডার ওয়েপেন" ৷ মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় একটি চিরকুট। তাতে লেখা, " মারতে চাইনি, বাধ্য হলাম।"
হোটেল সূত্রে খবর, গতকাল বেলা 1টা নাগাদ হোটেলের রিসেপশনে এসে হাজির হন এক যুগল ৷ নিজেদের পরিচয় পত্র জমা দিয়ে দোতলার 201 নম্বর ঘরে ওঠেন তাঁরা ৷ পরিচয় পত্র থেকে জানা গিয়েছে মৃত যুবতির নাম চম্পা ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। তবে, যুবকের পরিচয় এখনও জানা যায়নি ৷ হোটেলের এক কর্মী সূত্রে খবর, ওই যুগলের উভয়ের বয়স ও 25-এর কাছাকাছি ৷