কলকাতা, 23 মে : বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠল কেষ্টপুরে ৷ বাগুইআটি থানার অন্তর্গত কেষ্টপুরের হরিচাঁদপল্লির প্রসেনজিৎ দাসের আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় । রবিবার সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় প্রসেনজিতের মৃতদেহ ।
বছর তিরিশের প্রসেনজিৎ দাস ওরফে সুজন পেশায় গাড়িচালক ছিলেন । তাঁর মা লোকের বাড়িতে কাজ করে এবং ছাতু বিক্রি করে কোনওমতে সংসার চালাতেন । ছেলের মৃত্যুতে দিশেহারা তিনি ৷ প্রসেনজিতের মা অনিমা দাসের অভিযোগ, তাঁর ছেলে বিজেপি করতেন ৷ ভোটের পর থেকেই ঘরছাড়া ছিলেন তাঁর ছেলে । ক'দিন আগে ফিরে এলেও ছেলেকে ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হত না । মারধরও করা হয়েছিল তাঁকে । অসম্ভব চাপে ছিলেন প্রসেনজিৎ । এই কারণেই আত্মহত্যা করেন তিনি ৷
কেষ্টপুরে বিজেপি কর্মীর আত্মহত্যার ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠল ৷ যদিও বাগুইআটি থানায় দায়ের করা অভিযোগে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির কোনও কথার উল্লেখ নেই । পুলিশ জানায়, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে । তবে তাতে রাজনৈতিক সংঘাতের কোনও কথা বলে নেই ৷ এই প্রসঙ্গে মৃত বিজেপি কর্মীর মা বলেন, "এমনিতেই শাসাচ্ছে ৷ এখন যদি আবার পুলিশে যাই আবার এসে মারবে ৷" ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
স্থানীয়রা জানান, প্রসেনজিতের উপর নির্বাচনের পর থেকেই অসম্ভব চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল । ভোটের পর তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং তাঁকে মারধর করা হয় । এমনকি তাঁকে ঘর থেকে না বেরোনোর ফতোয়া দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে এমনটাই অভিযোগ প্রতিবেশীদের ৷ তাঁদের দাবি, অসম্ভব মানসিক চাপের জেরে আত্মহত্যা করেন প্রসেনজিৎ ।
আরও পড়ুন : ভোট মিটতেই মোহভঙ্গ, তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আর্জি সরলার