কলকাতা, 26 এপ্রিল : ফের EVM হ্যাকের আশঙ্কা প্রকাশ করল তৃণমূল। আজ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে আসে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল । সেই দলে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ডেরেক ও'ব্রায়েন, সুব্রত বক্সি, শুভাশিস চক্রবর্তী এবং তাপস রায়। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, ফের EVM হ্যাক করার পরিকল্পনা চলছে। এই প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ভোটে হেরে যাবে BJP । তাই EVM হ্যাকের চক্রান্ত চলছে ।"
EVM হ্যাকিংয়ের চেষ্টা করছে BJP : পার্থ চট্টোপাধ্যায়
EVM হ্যাকের আশঙ্কা প্রকাশ করে আজ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে যায় তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। দলে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ডেরেক ও'ব্রায়েন, সুব্রত বক্সি, শুভাশিস চক্রবর্তী, এবং তাপস রায়।
EVM হ্যাকের অভিযোগ উঠছিল একাধিকবার। অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে শুরু করে ফারুক আবদুল্লা, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব কিংবা চন্দ্রবাবু নাইডুরা এই নিয়ে অতীতে অভিযোগ তুলেছিলেন । তাঁদের অভিযোগ ছিল, EVM-এ কারচুপি চলছে । যদিও, নির্বাচন কমিশনের তরফে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বারবার । তারপরেও ব্রিগেডে বিরোধীদের সভায় ফারুক আবদুল্লা আবারও একই অভিযোগ আনেন । বিষয়টি নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানায় বিরোধীদের একটি প্রতিনিধি দল । যদিও পরে, চন্দ্রবাবু নাইড়ু ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি তোলেন ৫০ শতাংশ VVPAT-এর স্লিপ গণনা করতে হবে। যদিও, বিরোধীদের সেই দাবি পূরণ হয়নি । কমিশন ঠিক করেছিল বিধানসভা পিছু একটি করে VVPAT পরীক্ষা করা হবে । পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ঠিক হয়েছে বিধানসভা পিছু পাঁচটি করে VVPAT-এর স্লিপ গণনা হবে । এরই মাঝে আজ পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাৎপর্যপূর্ণভাবে আবার দাবি করলেন, EVM হ্যাকিংয়ের পরিকল্পনা চলছে ।
এদিকে, আজ ব্যারাকপুরের EVM-এর কমিশনিংয়ের সময় দেখা যায় পদ্মফুল চিহ্নের নিচে লেখা রয়েছে BJP । যা নিয়ে মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানায় অন্য রাজনৈতিক দল । এই নিয়ে আজ পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "BJP-র নেতৃত্বাধীন সরকার বিস্ময়কর জিনিস ঘটাচ্ছে। ভোট বাক্সের EVM-এর উপরে সাধারণত কোনও রাজনৈতিক দলের নাম থাকে না । প্রতীক থাকে । যদি নির্বাচন কমিশন EVM মেশিনের উপর কোনও রাজনৈতিক দলের নাম লিখে থাকে তাহলে তারা অপরাধ করেছে । এতে অন্য রাজনৈতিক দলগুলির স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে । এই সুযোগ সব রাজনৈতিক দলকেই দেওয়া উচিত । পরের দফাগুলির ভোটে যেন এইরকম কোনও ঘটনা না ঘটে তার জন্য আজ আমরা নির্বাচন কমিশনে গেছিলাম। তাদের এই বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা লক্ষ্য করছি নানারকম ফন্দি করছে BJP । এমন কী তারা ভোট হ্যাক করারও চেষ্টা করছে । নির্বাচন কমিশন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের ব্যাপারে এত পদক্ষেপ নিয়েও কী করে একটি রাজনৈতিক দলকে এই সুবিধা দিচ্ছে সেই ব্যাপারে প্রশ্ন থেকে যায় । যখন BJP-র জনভিত্তিক হার সুনিশ্চিত । মানুষ যখন BJP-র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে তখন তারা প্রযুক্তিগত দিক থেকে মানুষের ইচ্ছাকে পদদলিত করার চেষ্টা করছে । আমরা এর প্রতিবাদ জানাই ।"