কলকাতা, 24 নভেম্বর:রাজ্যে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল ৷ 100 দিনের কাজের ভুক্তোভোগীদের নিয়ে রাজঘাটে ধরণাও দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ সে সব এখন অতীত, এবার খোদ বিজেপি বিধায়কদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি ৷ কেন্দ্রের টাকা বন্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। আর এই ক্ষোভ নিয়ে যে বিজেপি বিধায়কদের একাংশ যথেষ্ট বিব্রত তা বোঝাই গেল শুক্রবার। হাতের মুঠোয় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পেয়ে টাকা বন্ধ নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের কথাই বিধায়করা তুলে ধরলেন ৷
বিধানসভায় বিধায়কদের বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে এসে 100 দিনের কাজ-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে দেওয়া নিয়ে বিজেপি বিধায়কদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন বিধানসভায় ছিল শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন। আর এদিনই বিধানসভায় বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। যদিও এদিন বিধানসভায় ছিলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্য কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকায় তিনি বিধানসভায় পরিষদীয় দলের বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি বলেই খবর।
এদিন বিজেপির পরিষদীয় দলের মিটিংয়ে বিজেপি বিধায়কদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ 100 দিনের কাছ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ না পাওয়া নিয়ে মানুষের অভিযোগের কথা সুকান্ত মজুমদারের কাছে তুলে ধরেন। সূত্রের খবর, এমনও জানা গিয়েছে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের কথা জানাতে গিয়ে বিধায়কদের একাংশ কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা বন্ধের কৌশল নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। যদিও বৈঠকে এই ক্ষোভ-বিক্ষোভের কথা প্রকাশ্যে কেউ স্বীকার করেনি। তবে এদিন বিধানসভার বাইরের সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কার্যত বিষয়টি নিয়ে যে ভেতরে আলোচনা হয়েছে তা মেনে নেন। একই সঙ্গে তিনি এও জানিয়ে দেন, তিনি বিধায়কদের সাধারণ গরিব মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের তালিকা তৈরীর কথা বলেছেন।
সূত্রের খবর, একুশের নির্বাচনে ফলপ্রকাশের পর দলের ফলাফল পর্যালোচনায় বসেছিল গেরুয়া শিবির। আর সেই পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সে সময় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল রাজ্যে আশানুরূপ ফল না হওয়ার কারণ কী ! জবাবে তাঁকে অন্যান্য কারণের পাশাপাশি, রাজ্যের দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে সেভাবে না আনতে পারার ব্যর্থতার কথা প্রকাশ্যেই বলেন দলের এক শীর্ষ নেতা। এমনকী সে সময় তাঁর সুপারিশও ছিল রাজ্যের মানুষের কাছে দুর্নীতির বিষয়গুলিকে চিহ্নিত করে মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। যাতে মানুষের কাছে এটা প্রমাণিত হয় যে কেন্দ্রের পাঠানো অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করা তো হচ্ছেই না, বরঞ্চ দুর্নীতি করে নিজেদের পকেট ভরা হচ্ছে। তারপর পরবর্তী সময়ে কি হয়েছে তা সকলেই জানা।