কলকাতা, 24 মে: সময়ের আগেই কি পড়ে যেতে পারে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ? মঙ্গলবার নবান্ন থেকে এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে নয়া রাজনৈতিক জল্পনা ৷ রাজনৈতিক মহলের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তবে কি কেন্দ্রে নতুন কোনও রাজনৈতিক সমীকরণের আগাম বার্তা দিতে চাইলেন মমতা ?
বীরভূমে এসে লোকসভা ভোটে রাজ্য বিজেপিকে টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এপ্রিল মাসেই তিনি বলেছিলেন 2024 সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি বাংলা থেকে 35টি আসন জিতলে 2026 সালের আগেই রাজ্য সরকারের ভীত নড়ে যাবে। মঙ্গলবার কার্যত সেই সুরেই পালটা কেন্দ্রকে বিঁধলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনিও কার্যত বিরোধীদের জন্য একরকম টার্গেটই বেঁধে দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর দিল্লি নিয়ে অধ্যাদেশ আনছে কেন্দ্র সরকার ৷ আর সেই বিষয়ে রাজ্যে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আপ সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মমতাও ৷
আর কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে মমতা জানান, রাজ্যসভায় বিরোধীরা একজোট হয়ে কেন্দ্রের অধ্যাদেশকে আটকে দিতে পারলে মেয়াদ শেষের আগেই ভাঙতে পারে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এদিন মমতা-কেজরিওয়াল বৈঠকের পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। যদিও সংখ্যা তত্ত্বের বিচারে আদেও এই ধরণের কোনও ঘটনা ঘটার কোনও সামান্যতম সম্ভবনা নেই বলেই জানাচ্ছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ৷ তবে মমতার এই মন্তব্যের পর তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে ৷ এদিন আচমকাই মমতাকে কথায় কথায় এও বলতে শোনা যায়, "আমি আজ বেঁচে আছি, কাল নাও থাকতে পারি।" তবে কেন তিনি এমন কথা বললেন তা কিন্তু স্পষ্ট করেননি মুখ্যমন্ত্রী নিজে।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, সবকিছুই যে ঘটতে পারে সেটা বোঝাতেই এই প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন মমতা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মিরাকেল তত্ত্বের দাবি করলেও কীভাবে বিজেপিকে হারানো সম্ভব তাও বাতলে দিয়েছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আর তো 6 মাসের ব্যাপার। আর যদি কোনও মিরকেল হয়ে যায় সরকার আগেও পড়ে যেতে পারে। কে বলতে পারে, আমি আজ বেঁচে আছি, কাল নাও থাকতে পারি। নির্বাচন হলেও 6 মাস বাকি। বিজেপি সরকারের মেয়াদ তার চেয়ে বেশি নয়।" তাহলে কী মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, রাজ্যসভায় দিল্লি সংক্রান্ত অধ্যাদেশ খারিজ হয়ে গেলে বিজেপি সরকারের ভীত নড়ে যাবে! সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।