কলকাতা, 22 জুলাই : "রাজ্য সরকার তাদের মামলা নিয়ে বিচারপতিকে আইনগতভাবে বিশ্বাস করতে পারছেন না । তাই ওরা পরিকল্পনা করে একটি সাংবিধানিক সংকট তৈরি করার চেষ্টা করছে । এখন আদালতকে ভয় দেখানোর প্রবণতা তৈরি হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের । এর আগে এই রকম পরিস্থিতি আমরা দেখিনি ।" রাজ্য সরকারের আইনজীবীদের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে একথা বললেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ৷
সাংবিধানিক সংকট তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল : বিকাশ
"তৃণমূল তাদের অপকর্মের আইনি সুরাহা পাচ্ছেন না । বিচারপতিকে তারা তাঁদের অপকর্মের ব্যাখা দিতে ঠিক মতো দিতে পারছেন না । তাই শ্রেষ্ট কাজ হল পালিয়ে যাওয়া । রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা মামলার শুনানি চলার সময় না থাকলে যারা উপস্থিত থাকবেন তাঁদের বক্তব্য শুনে বিচারপতি রায় দেবেন ।" রাজ্য সরকারের আইনজীবীদের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বললেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ৷
আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে কোনও মামলার শুনানিতে সওয়াল না করার সিদ্ধান্ত নেন রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা । তাঁদের অভিযোগ, বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় মামলার কপি ভালো করে না পড়ে, রাজ্যের বক্তব্য ভালো করে না শুনে রায় দিচ্ছেন । এই প্রসঙ্গে বিকাশাবাবু বলেন, "আজকে বলছেন রাজ্য সরকারের কোনও একটি নির্দিষ্ট বিচারপতির কাছে আবেদন করবে না । কাল বলবে অন্য আরেকটি বিচারপতির কাছে আবেদন করব না । আসলে তারা তাদের অপকর্মের আইনি সুরাহা পাচ্ছেন না । বিচারপতিকে তারা তাদের অপকর্মের ব্যাখা দিতে ঠিক মতো দিতে পারছে না । তাই শ্রেষ্ট কাজ হল পালিয়ে যাওয়া । রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা মামলার শুনানি চলার সময় না থাকলে যারা উপস্থিত থাকবেন তাদের বক্তব্য শুনে বিচারপতি রায় দেবেন ।"
এই নিয়ে মুকুল রায় বলেন, "এদেশের আদালতের নিয়ম অনুযায়ী সরকারি আইনজীবী এই রকম করতে পারেন । অন্য কোনও দেশের আদালত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হত । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও জায়গায় হারতে চান না । কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় এর আগে আদালতে যে ব্যবহার করেছেন অন্য কোনও দেশের বিচারব্যবস্থা হলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হত ।"