কলকাতা, 13 ডিসেম্বর : তরুণীকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে বাইকে বসিয়ে শ্লীলতাহানির ঘটনায় (Bidhannagar Molestation Case) ধৃত দুই পুলিশ কর্মীকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল বিধাননগর আদালত ৷ সোমবার ধৃত এএসআই ও সিভিক ভলান্টিয়ারকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের 27 ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন (Bidhannagar Court Orders Jail Custody of Two Policemen) ।
আদালতে শুনানির সময় ধৃত দু'জনকে তীব্র ভর্ৎসনা করে বিচারক বলেন, "ডিউটি শেষ করার পর আপনারা দুই উর্দিধারী পুলিশ কর্মী বাইক নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন । আপনাদের বাইকে পুলিশ লেখা ছিল । এটা দেখেই ওই তরুণী আপনাদের প্রতি আশ্বস্ত হয়েছিলেন । এরপরেই আপনারা তাঁকে একটি ফাঁকা নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে যে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয় । আপনাদের উচিত ছিল স্থানীয় কোনও থানায় ওই তরুণীকে হস্তান্তর করা । তা করলেন না কেন ?"
আরও পড়ুন :ASI arrested for molestation : গ্রেফতার তরুণীকে শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত এএসআই-সহ 2
ধৃত দুই পুলিশ কর্মীর তরফে অবশ্য আদালতে জানানো হয়, রাতের শহরে ওই তরুণীকে সাহায্য করার জন্য তারা বাইকে বসিয়েছিলেন । সেক্ষেত্রে বিচারক জানান, পুলিশের কাজ সাহায্য করা নয় ৷ পুলিশের কাজ হল তার নিজের কর্তব্য পালন করা । ওই দুই পুলিশ কর্মীর উচিত ছিল স্থানীয় কোনও পুলিশ আউটপোস্ট বা কর্তব্যরত কোনও থানায় ওই তরুণীকে হস্তান্তর করা, কেননা ওই দুই পুলিশ কর্মীর ডিউটি শেষ হয়ে গিয়েছিল । তা না করে কেন আশ্চর্যজনকভাবে নিজের বাইকে বসাতে গেলেন ওই তরুণীকে ?
অভিযোগকারিণীর আইনজীবী তরফে সওয়াল করা হয়, ওই তরুণী উল্টোডাঙা যাওয়ার কথা থাকলেও কেন ওই দুই পুলিশ কর্মী তাঁকে বাইপাসের উপর একেবারে নির্জন এলাকায় নিয়ে গেলেন ?
তরুণীর পুলিশকে দেওয়া গোপন জবানবন্দি শুনে বিচারক বলেন, "ওই তরুণী বুঝতে পেরেছিলেন তাঁকে নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । এরপর তিনি চিৎকার করলেও গাড়ি থামানো হয়নি । অর্থাৎ, এখান থেকেই পরিষ্কার যে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার যিনি বাইকটি চালাচ্ছিলেন, তিনি গোটা ঘটনাটি জানতেন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে ।"
আরও পড়ুন :Molestation in Kolkata : রক্ষকই ভক্ষক ? রাতের শহরে তরুণীর শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত দুই উর্দিধারী