কলকাতা, 29 মার্চ: মিছিল নগরী ৷ অনেক আগেই কলকাতার নামের পাশে এই বিশেষণ বসেছে ৷ এখনও প্রায় রোজদিনই কোনও না কোনও ইস্যুতে মিছিল দেখা যায় মহানগরে ৷ দুর্ভোগও পোহাতে সাধারণ মানুষকে ৷ কিন্তু বুধবার তিলোত্তমায় যা ঘটল, তা এককথায় নজিরবিহীন ৷ বাংলার সব রাজনৈতিক পক্ষের হেভিওয়েটরা নেমে পড়লেন নানা কর্মসূচিতে ৷ রেড রোড থেকে শহিদ মিনার-ধর্মতলা হয়ে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার পর্যন্ত তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপির ধরনা, সভা, মিছিল প্রত্যক্ষ করতে হল মহানগরের বাসিন্দাদের৷ দুর্ভোগ-ভোগান্তির মুখেও পড়তে হল ৷
এদিন রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে তাঁর দু’দিনের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে ৷ বেলা 12টাতেই তিনি ধরনা মঞ্চে পৌঁছে যান ৷ সেখান থেকে আরও কিছুটা দূরে ময়দানের অন্যপাশে শহিদ মিনারে সভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ৷ দূর-দূরান্ত থেকে তৃণমূলের ছাত্র ও যুব কর্মী-সমর্থকরা ওই সভায় যোগ দিতে আসেন ৷ দুপুর 2টোয় শুরু হওয়া ওই সভা চলে প্রায় বিকেল চারটে পর্যন্ত ৷
দুপুরের দিকে শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে সিপিএম ও কংগ্রেস ৷ কংগ্রেসের প্রদেশ সদর দফতর বিধানভবনের কাছে রামলীলা ময়দান থেকে শুরু হয়ে ওই মিছিল মৌলালি, এন্টালি হয়ে ধর্মতলা পৌঁছায় ৷ অন্যদিকে এদিন সকাল থেকেই শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ের কাছে তৃণমূূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ধরনা করে বিজেপি ৷ সেখানে সকাল থেকে গেরুয়া শিবিরের ছোট-সেজ-মেজ নেতারা উপস্থিত ছিলেন ৷ বেলা যত বাড়তে থাকে সেখানে ততই বাড়তে থাকে বিজেপির হেভিওয়েটদের ভিড় ৷ দুপুরের পর সেখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) উপস্থিতি গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের ভিড় অনেকটাই বাড়িয়ে দেয় ৷