কলকাতা, 14 ফেব্রুয়ারি: রাজ্যে শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) । নবান্ন সূত্রে যা জানা যাচ্ছে, এপ্রিল বা মে মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পন্ন হবে । পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাংলার শাসকদলের নজরে গ্রামীণ ভোট ব্যাংক । বিশেষ করে গ্রামীণ বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটাতে নবান্নের নজরে নতুন রাস্তা নির্মাণ (Road Construction) ও পুরনো রাস্তার সংস্কার ।
ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন জায়গায় প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা (PMGSY) রয়েছে রাস্তা নির্মাণের জন্য । ইতিমধ্যেই রাজ্যকে গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে 400 কোটি টাকার বেশি রাজ্যকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে । কিন্তু কেন্দ্রীয় বরাদ্দের বাইরে গিয়েও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে গ্রামীণ পরিকাঠামো তৈরিতে রাস্তা নির্মাণের উপর বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ।
নবান্নের একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, নির্বাচনের আগেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে 10 হাজার 600 কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । এর জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে প্রায় তিন থেকে চার হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা যাচ্ছে ।
নবান্নে তরফ থেকে এই সংক্রান্ত একটি এসওপি জারি করা হয়েছে বিভিন্ন জেলাগুলিকে । যেখানে জেলা নেতৃত্বকে বলা হয়েছে মঙ্গলবারের মধ্যে সমস্ত জেলাকে জানাতে হবে কোন জেলায় প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার বাইরে বাড়তি রাস্তা নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্থের প্রয়োজন রয়েছে । এক্ষেত্রে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের তরফ থেকে ওই সমস্ত জেলাগুলিকে শুধুমাত্র অর্থ বরাদ্দ করা হবে তাই নয়, রাস্তা নির্মাণের পর এই রাস্তা যে রাজ্যের দেওয়া অর্থে তৈরি হয়েছে তাও প্রচার করে সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে ।
এর পাশাপাশি আরও জানা যাচ্ছে নবান্নের তরফ থেকে যে গাইডলাইন জারি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে যে রাস্তা নির্মাণ করা হবে বা সংস্কার করা হবে, প্রত্যেকটি রাস্তার ক্ষেত্রেই জিও ট্যাগিং করতে হবে । এখানে আরও বলা হয়েছে এই যে অর্থ রাজ্য সরকার দিচ্ছে, এই অর্থের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় যে কাজ হবে সেই কাজের অগ্রগতির ছবি পঞ্চায়েত দফতরের পোর্টালে আপলোড করতে হবে । এই কাজ ঠিকমতো করা হচ্ছে কি না, তা নজরদারি করবেন এডিএম পর্যায়ের আধিকারিকরা ।
যতদূর জানা যাচ্ছে, আগামী 27 মার্চের পর থেকেই এই রাস্তাগুলি নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যাবে । এবং ওয়ার্ক অর্ডারের ইস্যু করার কাজ 12 মার্চের পর থেকে শুরু হবে । সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা নির্মাণ নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে । অনেক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ সঠিক সময় না আসার জন্য এই কাজ করা যাচ্ছিল না । কিন্তু মানুষ সে কথা শুনতে রাজি নয়, তাই মানুষের দাবি মেনে রাজ্য সরকারি কোষাগার থেকেই গ্রামীণ উন্নয়নের এই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে ।
আরও পড়ুন:নন্দিনী ইস্যুতে রাজভবন-নবান্নের নীরবতা কি নতুন সংঘাতের ইঙ্গিত ?