কলকাতা, 22 এপ্রিল : চতুর্থ দফায় শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছিল ৷ আর এবার গুলি চালাল পুলিশ ৷ তবে এবার আর কোনও হতাহতের খবর নেই ৷ বাগদার 35 নম্বর বুথের এই ঘটনায় জখম হয়েছেন দু'জন ৷ এবারও কমিশন ঠিক শীতলকুচির মতোই ঢাল হয়ে দাঁড়াল কর্তব্যরত পুলিশদের জন্য ৷ আত্মরক্ষার তাগিদেই গুলি চালিয়েছে পুলিশ ৷ এমনটাই বলেছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ৷ কমিশন সূত্রে খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় আহত হয়েছেন পুলিশ কর্মীরাও ৷
যে দু'জন ভোটার জখম হয়েছেন, তাঁরা এলাকায় বিজেপির সমর্থক বলেই পরিচিত ৷ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বাগদার 35 নম্বর বুথ থেকে 200 কিলোমিটার দূরে ক্যাম্প অফিস তৈরি করা হয়েছিল ৷ সেখানে ভিড় করেছিলেন বিজেপির সমর্থকরা ৷ তৃণমূলের নেতাদের কথায় নাকি সেখান থেকে ভিড় সরাতে নেমেছিল পুলিশ ৷ লাঠিচার্জের অভিযোগও ওঠে ৷ কিন্তু পুলিশ সূত্রে খবর, বিজেপি কর্মীরা ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁদের উপর হামলা করে ৷
যদিও পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছে কমিশন ৷ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক জানিয়েছেন, তিন রাউন্ড গুলি চালিয়েছে পুলিশ ৷ তবে তা আত্মরক্ষার জন্য ৷ এতকিছুর মধ্যেও আজ ফের একবার কেন্দ্রীয় বাহিনী বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল গুলি চালানোর ৷ অশোকনগরের ট্যাংরা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল ৷ যদিও সেই অভিযোগ সমূলে খারিজ করে দিয়েছে কমিশন ৷
আজ যে কেন্দ্রগুলিতে ভোট ছিল, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকা বঙ্গ রাজনীতিতে অশান্তিপ্রবণ বলেই পরিচিত ৷ এর মধ্যে রয়েছে ব্যারাকপর, ভাটপাড়া, জগদ্দল ৷ শুধু ভোটের সময় বলে নয়, এই এলাকাগুলিতে অর্জুন সিং ও তাঁর দল-বলের সঙ্গে তৃণমূলীদের সংঘাত প্রায়ই লেগে থাকে ৷ আমডাঙাকেও একেবারে বাদ দেওয়া যায় না ৷ বিগত কয়েকবারের ভোটে আমডাঙা প্রতিবার শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে অশান্তির জন্য ৷
আরও পড়ুন : নির্বাচনী প্রচারে বোলপুরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী, বাতিল প্রধানমন্ত্রীর সভা
সেই চাপা উত্তেজনা আজও ছিল সকাল থেকে ৷ কিন্তু বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সেভাবে বড় কোনও সংঘর্ষ বা অশান্তির খবর একেবারেই ছিল না ৷ বুথ জ্যাম বা ছাপ্পারও সেভাবে কোনও অভিযোগ নেই ৷ চতুর্থ দফায় শীতলকুচিতে যে হিংসার ছবি দেখেছে গোটা বাংলা, তারপর থেকে সবকিছু যেন হঠাৎ শান্ত হয়ে গিয়েছে ৷