কলকাতা, 6 এপ্রিল : ‘নিরামিষ’ আর থাকল না তৃতীয় দফার ভোট ৷ প্রথম দু’দফার নির্বাচনে বলতে গেলে বিন্দুমাত্র অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ হয়নি ৷ দ্বিতীয় দফায় শুধুমাত্র শেষ বেলায় নন্দীগ্রামে কিছুটা ঢেউ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাও অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি ৷ প্রথম দু’দফার তুলনায় তৃতীয় দফায় ভোটেই কিন্তু ‘খেলা শুরু’ হল ৷ এর পিছনে কারণও অবশ্য রয়েছে ৷
লোকসভার নিরিখে প্রথম দুই দফায় ছিল গেরুয়া শিবিরের রমরমা ৷ দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় দু’বছর আগে ব্যাপক ভাবে পদ্মচাষ হয়েছিল ৷ এই প্রথম তৃতীয় দফায় এসে তৃণমূলের গড়ে নির্বাচন হল ৷ দক্ষিণ 24 পরগনা ও হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় লোকসভায় তৃণমূলের বিজয়রথ অব্যাহত ছিল ৷ হুগলির যা আটটা কেন্দ্রে ভোট হল, তার মধ্যে অবশ্য লোকসভায় বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে দাপট দেখিয়েছিল বিজেপি ৷ তাই বলতে গেলে লোকসভার ফলে তৃণমূলের 2-1 এ এগিয়ে থাকা অবস্থায় ম্যাচ শুরু হয়েছিল ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার যে 16টি আসনে এদিন ভোট নেওয়া হল, তার মধ্যে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রের পাঁচটি আসন ছিল ৷ যেহেতু ওই কেন্দ্রের সাংসদের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই স্বাভাবিক ভাবেই এই জেলায় বাড়তি নজর ছিল ৷ বিষয়টি আগাম আঁচ করে দক্ষিণ 24 পরগনায় বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছিল নির্বাচন কমিশন ৷ তাতেও অশান্তি এড়াল গেল না ৷ তবে লক্ষণীয় বিষয় হল, এবার এই জেলায় আর একতরফা অভিযোগ আসেনি ৷ অভিযোগের সংখ্যায় বিজেপির খুব বেশি পিছনে থাকবে না তৃণমূল ৷ প্রথম দুই দফার মতো এই পর্বে সংযুক্ত মোর্চাকে অবশ্য দুরবীন দিয়ে খুঁজতে হয়নি৷ কয়েকটি জায়গায় আইএসএফের কর্মীদেরও লড়াইয়ের ময়দানে থাকতে দেখা গিয়েছে ৷