কলকাতা, 17 এপ্রিল : পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফা আজ । হাই ভোল্টেজ এই পর্বে রয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ।
দ্বিতীয় পর্বে করোনার গ্রাফ ক্রমবর্ধমান এবং সঙ্গে পরিস্থিতির জন্য পাল্লা দিয়ে রাজনৈতিক দোষারোপ, দেশের নির্বাচন কমিশন (ইসি)-র একটি কঠোর নির্দেশের ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজন ভিভিআইপি রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এবং চতুর্থ দফার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর গুলিতে চার ভোটারের মৃত্যুর মতো কারণগুলি পঞ্চম পর্বের আগে নতুন করে পরিস্থিতি ভিন্নমাত্রা দিয়েছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, শীর্ষ স্থানীয় বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা নির্বাচন কমিশনের কঠোরতার মুখোমুখি হয়েছিলেন ৷ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল । এছাড়াও নির্বাচন কমিশন নোটিশ দিয়ে সেন্সার করেছিল সায়ন্তন বসু ও শুভেন্দু অধিকারীর মতো প্রথম শ্রেণির বিজেপি নেতাদের ।
নতুন নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রের নেতৃত্বে পঞ্চম দফার নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার ছায়ার মধ্যে এই পর্বের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে । প্রসঙ্গত, তৃণমূল ইতিমধ্যেই শেষ তিন পর্বকে একসঙ্গে করার দাবি জানিয়েছে । তবে এই দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়াই নয়, নির্বাচন কমিশন ভোট প্রচারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা 48 ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে 72 ঘণ্টা ঘোষণা করেছে । প্রচারের সময়ও নির্বাচন কমিশন কমিয়ে দিয়েছে । এরআগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রমবর্ধমান করোনার কথা মাথায় রেখে শেষ তিনটি পর্ব এক সঙ্গে করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে টুইট করেছিলেন । কিন্তু, শেষ তিনটি পর্ব এক সঙ্গে করার সম্ভবনা উড়িয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এভাবে সংযুক্ত করলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেবে । যার ফলে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাধা প্রাপ্ত হবে । এদিকে, কোভিড 19 এ আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার জঙ্গিপুর বিধানসভার আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দী প্রয়াত হয়েছেন । সামশেরগঞ্জের পর ইনি দ্বিতীয় প্রার্থী যিনি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে প্রাণ হারালেন ।