কলকাতা, 15 এপ্রিল : তৃণমূল কংগ্রেসে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পরেই নাকি স্থান দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ এই অভিযোগ বারবার শোনা গেছে দলত্যাগী নেতাদের গলায় ৷ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির যাবতীয় আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু তিনি ৷ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে তোলাবাজি, গোরু পাচার, কয়লা কাণ্ড সহ একাধিক অভিযোগ ৷ এমনকী রেহাই পাননি স্ত্রীও ৷ তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলছেন তিনি দলের সাধারণ কর্মী মাত্র ৷ বাংলার একটি সংবাদ মাধ্য়মে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তাঁর বিরুদ্ধে আসা সমস্ত অভিযোগ বাপি বাড়ি যা স্টাইলে স্টেডিয়ামের বাইরে পাঠালেন ৷
তৃণমূলে তাঁর আধিপত্য নিয়ে বারংবার একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে ৷ দলত্যাগী নেতা-নেত্রীরা বরাবর তাঁর দিকে অভিযোগের অঙুল তুলেছেন ৷ তবে অবিচল থেকেছেন অভিষেক ৷ একটি বেসরকারি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘দলের কোনও সিদ্ধান্ত আমি নিই না ৷ দলের কোর কমিটির বৈঠকে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ বৈঠকের নেতৃত্বে থাকেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ থাকেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও ৷
দলত্যাগীদের নিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘এদের মুখোশের আড়ালেও আরেকটা মুখ আছে ৷ শুধুমাত্র লোভের বশবর্তী হয়ে তাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন ৷ সোনালি গুহ ও দীপক হালদার যদি তৃণমূলে টিকিট পেত, তাহলে দলে থাকত ৷ অর্থাৎ টিকিটের লোভে দলত্যাগ করেছেন এঁরা ৷’’ শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গেও গর্জে ওঠেন তিনি ৷ বলেন, ‘‘ দলে থেকে দলের ক্ষতি করলে কেউ সহ্য করবে না ৷ শুভেন্দু অধিকারী নিজে বলেছেন 2014 সাল থেকে বিজেপির সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রেখে চলেছেন ৷ এখন বিজেপি যা বলতে বলছে, উনি তাই বলছেন ৷’’