কলকাতা, 23 জুন:বাংলায় প্রবাদ আছে 'ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়'। সেই এক ভয় পাচ্ছেন এই রাজ্যের কংগ্রেস কর্মীরাও। পটনায় এক মঞ্চে রাহুল-মমতা। সঙ্গে মল্লিকার্জুন খাড়গে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, রয়েছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও। ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব, অখিলেশ যাদব, এমকে স্ট্যালিন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মেহবুবা মুফতি, ওমর আব্দুল্লাহ, শরদ যাদব-সহ দেশের তাবড় নেতারা। কিন্তু রাজ্যে বসে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছেন যে সমস্ত রাজ্যস্তরের কংগ্রেস নেতারা তাদের বুক দুরু দুরু। এই বুঝি কী হয়, কী হয়! আশঙ্কা বিজেপি হটাতে শেষ পর্যন্ত তাদের স্বার্থ যেন বলি দিতে না-হয় !
অতীতে এমন উদাহরণ অনেক আছে, যেখানে জোট স্বার্থের কথায় বন্ধুর প্রতি উদারতা দেখাতে গিয়ে হাইকমান্ড রাজ্যের কংগ্রেস কর্মীদের স্বার্থ উপেক্ষা করেছে। আর সেখানেই ভয় রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের একাংশের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রদেশ কংগ্রেস নেতা এদিন স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, পঞ্চায়েত ভোট হোক বা লোকসভা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই অত্যন্ত জরুরি। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় এ রাজ্যের সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধিও। তাঁর কথায়, "তাই আমরা আশা প্রকাশ করব হাইকমান্ড এমন কোনও পদক্ষেপ নেবে না, যাতে রাজ্যের কংগ্রেস কর্মীদের স্বার্থ উপেক্ষিত হয়।" এদিন ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি কথা বলেছিল কংগ্রেসের এআইসিসি সদস্য শুভঙ্কর সরকারের সঙ্গেও।
তিনি স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, পঞ্চায়েতের লড়াইয়ে কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলা হলে হাইকমান্ড সবসময় কর্মীদের পাশে থাকবে। কারণ, রাহুল গান্ধি সব সময় বলছেন, কংগ্রেসের শ্রীবৃদ্ধি হয় এমন কথাই তিনি সবসময় ভাবেন। আর ভাবেন বলেই তিনি কংগ্রেসকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে চান। তিনি বলেন, "2014 সাল থেকে কখনওই প্রদেশ কংগ্রেসের উপর কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়ার ফর্মুলা নেওয়া হয়নি। আমাদের লড়াইটা আমাদেরই লড়তে হবে। এক্ষেত্রে কাঁদুনি গেয়ে কিছু হবে না। আমাদের বানর সেনা প্রস্তুত। আমরা নীতি-আদর্শ মানি বলেই এত সমস্যা। যদি নীতি আদর্শের জলাঞ্জলি দিয়ে কংগ্রেস চলে তাহলে দু'মিনিটের মধ্যে রাজ্যে কংগ্রেসের উত্থান আপনারা দেখতে পাবেন। আমাদের এখানে কর্মীদের উপর আক্রমণ হলে দিল্লি কখনও এমনটা বলবে না যে, তোমরা তোমাদের হয়ে লড়াই করো না। বরং এক্ষেত্রে দল আমাদের পাশে থাকবে।"