কলকাতা, 13 সেপ্টেম্বর: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যখন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন তাঁকে এই নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ তিনি বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এত বড়বড় এবং এতগুলো অভিযোগ, ইডি তাঁকে ডাকবে নাকি আমাকে ডাকবে !’’
বিজেপি বিরোধী যে ‘ইন্ডিয়া’ জোট তৈরি হয়েছে, সেই জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক আগে থেকেই বুধবার হবে বলে নির্ধারিত হয়েছিল ৷ সেই দিনই ইডি তলব করেছে অভিষেককে ৷ তাই তিনি আদৌ হাজির হবেন কি না, এই নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল ৷ শেষ পর্যন্ত বিরোধী জোটের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাননি অভিষেক ৷ বরং সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে চলে যান ৷ তাঁর এই হাজিরা নিয়ে বিজেপির সমালোচনাও করে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ ইডিকে বিজেপি অভিষেকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করে বাংলার শাসক দল ৷
এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘জোটের বৈঠকের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তো খুব একটা সম্পর্ক নেই । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অন্য নেতৃত্ব ওই বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে পারতেন । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে । যদিও সত্যি বা মিথ্যে তদন্তে বেরোবে । কিন্তু যাঁর বিরুদ্ধে এতগুলো অভিযোগ, তাঁকে ইডি-সিবিআই ডাকবে নাকি আমাকে ডাকবে ! তাঁর গিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া উচিত ।’’
তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সম্বন্ধে তাঁর আরও কটাক্ষ, ‘‘ইডি তলব করেছে । উনি গিয়েছেন । কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না, সেই নির্দেশও দিয়েছে আদালত । গণমাধ্যমে উনি অনেকবার বলেছেন যে ওঁর বিরুদ্ধে কোনও দোষ প্রমাণিত হলে উনি নাকি ফাঁসিতে ঝুলে যাবেন । যিনি ক্যামেরার সামনে এত সাহস দেখান, তিনি বাস্তবে ইডি ডাকলে কপিল সিবলের মত নামজাদা উকিলকে দাঁড় করিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে যাতে কোনও কঠিন সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়, সেই আদেশ বিশেষ বেঞ্চ থেকে আদায় করে নিয়ে আসেন ।’’