পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

BDO SDO Defaced Ballot Papers: বিরোধী দলের প্রার্থীদের ব্যালট বিকৃত করেছেন বিডিও, এসডিও; রিপোর্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির - হাইকোর্টে

সিপিএম প্রার্থী কাশ্মীরা বিবির ব্যালট পেপার ষড়যন্ত্র করে বিকৃত করা হয়েছে। যে ঘটনায় স্থানীয় বিডিও, এসডিও এবং সরকারি আধিকারিক যুক্ত বলে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবী প্রসাদ দে ।

Etv Bharat
হাইকোর্ট

By

Published : Jul 27, 2023, 11:11 PM IST

কলকাতা, 27 জুলাই:উলুবেড়িয়ার সিপিএম প্রার্থী কাশ্মীরা বিবির ব্যালট পেপার ষড়যন্ত্র করে বিকৃত করা হয়েছে। এই কাজে বিডিও, স্থানীয় এসডিও'র সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করেছেন। একই সঙ্গে, এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত রাজ্যের অতিরিক্ত অনগ্রসর শ্রেণী দফতরের অফিসারও। এই তিন জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করে পদক্ষেপ করতে হবে। প্রাক্তন বিচারপতি দেবী প্রসাদ দে অনুসন্ধান রিপোর্ট দিয়ে এই সুপারিশ জানালেন আদালতে।

সেই সঙ্গে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তাঁর সুপারিশে জানিয়েছেন এঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবী প্রসাদ দে'র পর্যবেক্ষণ, পঞ্চায়েত ভোটে কাশ্মীরার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো তৃণমূল প্রার্থী লুৎফর বেগমের ওবিসি সার্টিফিকেটও ভুয়ো। কিন্তু এসডিও অভিযোগ পাওয়ার পরও কোনও পদক্ষেপ না করে আবেদনকারীকে পালটা নথি দিতে বলেন। তিন জনকেই সাসপেন্ড করতে হবে বলে এদিন জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।

পাশাপাশি ওই কেন্দ্রের ভোট বাতিলেরও সুপারিশ করেছেন দেবী প্রসাদ দে। উলুবেড়িয়া এক এর বিডিও'র বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। পরে 26 জুন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপুর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ খারিজ করে প্রাক্তন বিচারপতি দেবী প্রসাদ দে'কে পৃথকভাবে তদন্তের নির্দেশ দেয়। এবং রিপোর্ট সিঙ্গেল বেঞ্চে পেশ করতেও নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এরপর সেই তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি দেবী প্রসাদ দে ।

আরও পড়ুন: মণিপুরের ভাইরাল ভিডিয়োর তদন্ত করবে সিবিআই, নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের নথি বিকৃত করেছে উলুবেড়িয়া এক-এর বিডিও অভিযোগ করে সিবিআই তদন্তের আবেদন করেছিলেন কাশ্মীরা বিবি, ওমজা বিবি নামে দুই প্রার্থী। মনোনয়ন পত্র বিকৃত করার অভিযোগ করেছিলেন বিডিও বিরুদ্ধেও। প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল সময়ের মধ্যে তাঁরা জাতিগত শংসাপত্র (কাস্ট সার্টিফিকেট) জমা করলেও রেজিস্টারে তা নথিভুক্ত করেননি বিডিও। যার ফলে স্ক্রুটিনিতে বাদ চলে যায় তাঁদের নাম। এই ঘটনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলেও বিডিও অভিযোগ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন প্রার্থীরা।

ABOUT THE AUTHOR

...view details