কলকাতা, 28 সেপ্টেম্বর: দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম পুজোগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতেই স্থান পায় বড়িশা ক্লাবের দুর্গোৎসব (Barisha Club Durga Puja)। প্রতি বছর এক অনন্য চিন্তাধারা তুলে ধরেন তারা। এবারও আশা করা যাচ্ছে তার অন্যথা হবে না। জোড়কদমে চলছে তারই প্রস্তুতি। এবছর সাঁঝবাতি দিয়ে তৈরি হচ্ছে পুজো প্যান্ডেল (Barisha Club Celebrates Their Durga Puja)।
অমঙ্গলের কালো মেঘ ঘিরে রেখেছে পৃথিবীকে। মহামারীর তাণ্ডবে (Corona) মানব সভ্যতা যখন বিপন্ন, তখনই দিকে দিকে বাজছে যুদ্ধের দামামা। চলছে প্রাণহানি আর সম্পদের বিনাশ। লোভ, হিংসা, মিথ্যা রেষারেষিতে জড়িয়ে গিয়ে মানুষ আজ বিবেকহীন। পাপের কবলে শিব-দুর্গার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকর্ম আজ বিপর্যয়ের মুখে। এই চরম দুর্গতি থেকে মুক্তি পেতে বড়িশা ক্লাব দেবী দুর্গার শরণাপন্ন।
বাঙালির এক ঐতিহ্য তুলে ধরতে চলেছেন বড়িশা ক্লাব একমাত্র তাঁর কৃপায় ধরণী পাপমুক্ত হতে পারে বলে তাদের বিশ্বাস। তাই তারা আহ্বান জানিয়েছে, আসুন সাঁঝবাতির পবিত্র আলোয় আমরা তাঁর বন্দনা করি। সংসারে সবার মঙ্গল কামনায় 'মা' যেমন সাঁঝবাতি জ্বালিয়ে গৃহদেবতার কাছে প্রার্থনা জানান, তেমনই হৃদয়ের পূর্ণ আকুতি দিয়ে মা দুর্গার কাছে আমরা প্রার্থনা জানাই যাতে এই পৃথিবী পাপ মুক্ত হয়। কেটে যাক অমঙ্গলের সমস্ত কালো মেঘ। শিব-দুর্গার চিরসুন্দর সৃষ্টিকর্ম যেন অবিচলভাবে বিরাজ করে এই পৃথিবীতে।
সাঁঝবাতি-র থিমে একেবারে অন্যরকম ভাবনা প্রকাশ করতে চলেছে বড়িশা ক্লাব আরও পড়ুন:বাস্তবের দুর্গা এবার পুজোর মণ্ডপে, বাগুইআটির বন্ধুমহলে 'ভাগাড়ের মা'
পুরো মণ্ডপ সেজে উঠেছে বিভিন্ন শিল্পকীর্তিতে। লোহা, স্টিল, পিতল, সিলিকন এবং বিভিন্ন রঙের কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে মণ্ডপ সজ্জাতে। দেবী মূর্তি তৈরি হয়েছে ফাইবার দিয়ে। রয়েছে অজস্র প্রদীপ। থিমের নাম যেহেতু 'সাঁঝবাতি' তখন প্রদীপের সমাহার তো থাকবেই।