কলকাতা, 27 অক্টোবর:জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মামলা 'বিশেষ কেস' হিসাবে দেখছে আদালত ৷ শুক্রবার শুনানি শেষে বিচারক তনুময় কর্মকার ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিতেই অসুস্থ বোধ করেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ৷ তড়িঘড়ি তাঁকে বিচারকের চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ ডাকা হয় অ্যাম্বুল্যান্সও ৷ শেষ পর্যন্ত মন্ত্রীর পরিবারের আর্জি শুনে নির্দেশ নামাতেও বেশ কিছু বদলও করেন বিচারক তনুময় কর্মকার ৷ চিকিৎসার জন্য অসুস্থ মন্ত্রীকে তরিঘড়ি আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ৷ সেখানে তাঁকে ভরতি করানো হয় ৷ রাতে হাসপাতালের তরফে একটি মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা হয় ৷ যেখানে বলা হয়েছে, সুগারের সমস্যা বেড়েছে। মাথা ঘোরা, বমি ভাব ও শারীরিক দুর্বলতা রয়েছে। পরীক্ষা করে শারীরিক অন্যান্য জটিলতাও ধরা পড়েছে। আপাতত শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও তাঁকে পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছে ৷
এদিন জোকা ইএসআই হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার পর ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ৷ শুনানিতে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন ইডি'র আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি ৷ মন্ত্রীর আপ্তসহায়কের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া এক 'মেরুন ডায়েরি'র প্রসঙ্গও তোলেন ইডির আইনজীবী ৷ তাঁর দাবি, আর্থিক লেনদেনের যাবতীয় তথ্য সেই ডায়েরিতে রয়েছে ৷ পালটা সওয়াল করেন মন্ত্রীর আইনজীবীরাও ৷ দু'পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে 11 দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ৷