কলকাতা, 14 জানুয়ারি:কাঁটাতার যে মাবিকতার ওপরে নয়, আরও একবার প্রমাণ করল বিএসএফ ৷আন্তর্জাতিক সীমান্তের পবিত্রতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফের মানবিকতার নজির বিএসএফের। ভারতে মৃত বাবার শেষকৃত্যে বাংলাদেশি মেয়ে ও আত্মীয়দের অংশ গ্রহণের সুযোগ করে দিল বিএসএফ। রবিবার নদিয়ার সীমান্তের অন্তর্গত 32 ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকির মাটিয়ারি গ্রামের ঘটনা।
বক্কাশ মণ্ডল সীমান্ত গ্রামের মাটিয়ারির একজন পঞ্চায়েত সদস্য বলে জানা গিয়েছে। গত রাতে তিনি মারা যান। তার মেয়ে ও বোনেরা সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে থাকে। মৃতের মেয়ে এবং বোনেরা তাঁকে শেষবারের মতো দেখতে চায় বিএসএফের কাছে। কোম্পানি কমান্ডার তাদের কথা শুনে এবং মানবিকতার কথা মাথায় রেখে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিএসএফ-এর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবিও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করে এগিয়ে আসে। পারস্পরিক সহযোগিতার প্রেক্ষিতে, উভয় দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী, মানবতাকে সামনে রেখে, বাংলাদেশে বসবাসরত মেয়ে ও বোনদের জন্য আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে জিরো লাইনে তাদের বাবা-ভাইয়ের শেষ দেখা করার ব্যবস্থা করে।
শেষ বিদায়ের সময় পরিবেশ ছিল রীতিমতো শোকাবহ। বিএসএফের প্রতি তাদের মানবিক কাজের জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করা হয় বিজিবির তরফে। মৃতের মেয়ে, বোন এবং তাদের আত্মীয়রা বিএসএফকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে তাদের বাবা-ভাইয়ের শেষ মুহূর্তে দেখাতে পান। দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের বিএসএফের জনসংযোগ কর্মকর্তা সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতি বাহিনীর অঙ্গীকারকে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, "বিএসএফ কর্মীরা, সারাক্ষণ সীমান্তে দিনরাত নজরদারি চালায়। তারা কেবল দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না। বরং, সীমান্তের বাসিন্দাদের মানসিক এবং সামাজিক মঙ্গলও বিবেচনা করে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিলেও স্থানীয়দের মানবতা ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে অবিচল থাকে। আজকের এই কাজ ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সহোযোগীতা প্রদর্শন করে। যা মানবতার প্রতি অঙ্গীকার।"