কলকাতা, 20 ফেব্রুয়ারি:27 ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন । তার আগে, সাগরদিঘি বিধানসভার কংগ্রেস ইনচার্জ সইদুর রহমানকে 18 ফেব্রুয়ারি ভোররাতে গ্রেফতার করেছে সাগরদিঘি থানার পুলিশ । সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই গ্রেফতারি, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই কংগ্রেস নেতা ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগও করা হয়েছে ৷
শীঘ্রই ধৃত কংগ্রেস নেতাকে জামিন দেওয়ার আর্জি জানিয়ে সোমবার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবেদন জানান মামলাকারীর আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি । দ্রুত শুনানির আর্জি জানান হয় ৷ এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এদিন দুপুর দু'টোর সময় নোটিশ দিয়ে সব পক্ষকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন । কিন্তু আদালতের দ্বিতীয়ার্ধে মামলাকারীর তরফে জানানো হয়, বারংবার নোটিস দেওয়ার পরেও জিপিও, সাগরদিঘি থানা হাজির হননি ।
কংগ্রেসের তরফে সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন ধৃত ওই কংগ্রেস নেতা ৷ বিচারপতি মন্থা এদিন রাজ্যের কাছে জানতে চান, 15 বছর আগের ঘটনায় আগে কেন প্রাথমিক তদন্ত করা হল না! তিনি বলেন, "আদালত পুলিশকে একবার সুযোগ দিচ্ছে ৷ আগামিকাল দুপুর দুটোয় কেস ডাইরি নিয়ে ওসিকে আদালতে হাজির হতে হবে ।" মামলাকারীর তরফে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী জানান, সাগরদিঘির এসপিকে অভিযোগ জানাতে গেলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি । তাই এই তদন্ত খারিজ করা হোক । কারণ, নিম্ন আদালতে 10 দিনের আগে মামলা উঠবে না (Sagardighi Congress leader arrested) ।
আরও পড়ুন:কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ
কৌস্তভ বাগচীর দাবি, ওই কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধধে যিনি অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি দুই সন্তানের মা, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ওই কংগ্রেস নেতাকে । ওই মহিলা 17 ফেব্রুয়ারি অভিযোগ জানান । 15 বছর আগ নাকি ওই মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করা হয় ! ওই ঘটনায় কেন 2023 সালে অভিযোগ করা হল, তার কোনও ব্যাখ্যা নেই । প্রাথমিক তদন্ত করার আগে কেন এই গ্রেফতার, তারও ব্যাখ্যা নেই কোনও । ভোটের আগে রাজনৈতিক ভাবে কংগ্রেসকে চাপে ফেলতেই এই গ্রেফতারি বলে উল্লেখ করেন তিনি । মঙ্গলবার ফের শুনানি এই মামলার ।