কলকাতা, 24 ডিসেম্বর: ব্রিগেডের ময়দান থেকে সনাতনী সংস্কৃতিকে রক্ষার বার্তা দিলেন দ্বারকার শংকরাচার্য। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে সংস্কৃতি রক্ষার জন্য পাঠ্যক্রমে গীতা অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানালেন শংকরাচার্য। রবিবার স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, "আমরা যদি সকলে এক হয়ে যাই, তাহলে কোনও শক্তি আমাদের আর শাসন করতে পারবে না।"
রবিবার লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন হয়েছিল ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ৷ সেই অনুষ্ঠানে আসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আসেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তবে এসেছিলেন দ্বারকা পীঠের শংকরাচার্য-সহ কয়েক হাজার সাধু-সন্ত ৷ আর সেই অনুষ্ঠানে শংকরাচার্য বলেন, "আসল ভারতীয় আর নকল ভারতীয় কে, এই নিয়ে বিভাজন আমাদের দুর্বলতা। এটা হওয়া উচিত নয়। আমাদের জাতীয়তা এবং সিদ্ধান্তে কোনও মিশ্রণ হওয়া উচিত নয়। আমাদের পরম্পরাকে রক্ষা করতে হবে। যে কোনও রাষ্ট্রের পরম্পরাই তার শক্তি। এই ঐতিহ্য পরম্পরাকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের রক্ষা কিভাবে হবে-ধর্ম শাস্ত্রের জ্ঞানের মাধ্যমেই তা সম্পন্ন হবে।"
তিনি আরও বলেন, "বেদ, শাস্ত্র, ভগবৎ গীতা এবং পুরাণের মাধ্যমেই এটা সম্ভব।" এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, "আমাদের আদর্শের পথে পরিচালিত করে যে ধর্মগ্রন্থগুলি তাকে অনুসরণ করতে হবে। এমন কী আছে আমাদের দেশে যাতে ভারত-ভারত হিসেবে তৈরি হয়, সেটা আমাদের বুঝতে হবে। পাহাড় থেকে সাগর পর্যন্ত যে সংস্কৃতি রয়েছে সেটা হল সনাতনী সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতি সবাইকে আদর করতে শেখায়। সবাইকে পালন করতে শেখায়। যে দেশের আমরা খাবার জল-বায়ু গ্রহণ করি তার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। এটাই শেখায় ভারতীয় সংস্কৃতি। আদি এবং অনাদি সনাতন পরম্পরা। সে কারণেই আমাদের সনাতনী বলা হয়।"
প্রসঙ্গত, এদিন ব্রিগেডে মুখ্য আকর্ষণই ছিলেন শংকরাচার্য। এছাড়াও ছিলেন পুরীর মন্দিরের প্রধান দ্বৈতাপতি। এদিন মূলত তারা সনাতনী ধর্মকে রক্ষা করার বার্তাই দিয়েছেন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে।
আরও পড়ুন:
- লক্ষ কন্ঠের গীতা পাঠে জমায়েত নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের, বিতর্ক সুকান্তের টিপ্পনীতেও
- কলকাতায় এসেও যাদবপুরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন না ইউজিসি'র চেয়ারম্যান!
- 'ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ সুখ-শান্তি নিয়ে আসুক', শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী