কলকাতা, 30 জুন : অমানবিক কায়দায় গোরু পাচারের চেষ্টা । ঘটনায় রীতিমতো স্তম্ভিত সীমান্তরক্ষী বাহিনী । মরা পশুর চামড়া কিংবা দেহের মধ্যে লুকিয়ে গোরু পাচার চলছে বাংলাদেশে ৷ গতরাতে মালদা সেক্টরের কুমারপুর এবং আদমপুর বর্ডার আউটপোস্টের মাঝে মহানন্দা নদীতে মাংসপিণ্ড ভাসতে দেখেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা । সন্দেহ হতেই বিষয়টিকে খতিয়ে দেখা হয় ৷ উদ্বার হয় কয়েকটি গোরু ৷
পশুর মৃতদেহের মধ্যে পুড়ে বাংলাদেশে গোরু পাচার রুখল BSF
BSF-র পেট্রোলিং বোট নজরদারি চালচ্ছিল মালদা সেক্টরের কুমারপুর এবং আদমপুর বর্ডার আউট পোস্টে মাঝে মহানন্দা নদীতে ৷ হঠাৎ দেখতে পায় কতগুলি মাংস পিণ্ড ভাসছে জলে ৷ সেখান থেকেই পাচার হওয়ার আগে উদ্ধার হয় কয়েকটি গোরু ৷
গতবছর দু'টি কলাগাছের গুঁড়িতে গোরু বেঁধে নদীর জলে ছেড়ে দিয়ে গোরু পাচারের ঘটনা দেখেছিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী । কার্যত তারপর থেকে তারা সতর্ক হয়ে পড়ে । এই ঘটনার বিষয়ে BSF-র DG এস. এস গুলেরিয়া বলেন, "মালদা, মুর্শিদাবাদের হারু ডাঙা, শোভাপুর বর্ডার আউটপোস্ট, বইরাডাঙা, নিমতিতা, ভাগীরথীর মতো বর্ডার আউটপোস্টগুলি গঙ্গার তীরে অবস্থিত । সেখানে কোনও বেড়া নেই । স্বভাবতই, বর্ষায় যখন সেখানে বন্যা চলে আসে তখন সমস্যা তৈরি হয়। সীমান্তে তিন চার কিলোমিটার দূরের গ্রাম যেমন ধুলিয়ান, ডিস্কো বোর্ডের মতো বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে পাচারকারীরা রাতের অন্ধকারে দু'টি কলাগাছের মাঝে গোরুকে বেঁধে দিয়ে জলে ছেড়ে দিয়েছিল । গোরু সাঁতার কেটে বাংলাদেশের দিকে চলে যায় । বাংলাদেশি পাচারকারীরা ওপারে বোটের মাধ্যমে গোরুটিকে ধরে নেয় । আমাদের কাছে তখন যেটুকু সময় থাকে তার মধ্যে আমরা স্পিডবোট কাজে লাগিয়ে যত বেশি সম্ভব গোরু উদ্ধারের চেষ্টা করি । এভাবে আমরা 50 থেকে 60 শতাংশ গোরু ধরে ফেলতে পেরেছিলাম । কিন্তু অস্বীকার করার জায়গা নেই কয়েকটি গোরু হয়ত ওপারে চলে গিয়েছিল । এটা বন্ধ করতে আমরা ওইসব এলাকায় আরও বেশি করে ফোর্স নামিয়েছি । ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক ক্যামেরা । সীমান্তরক্ষী বাহিনী সর্বদা সজাগ রয়েছে।"
সীমান্ত বাহিনী সর্তক হওয়ার পর থেকেই এবার তাই গোরু পাচারকারীরা ধরেছে অন্য পথ । গতরাতে মালদা সেক্টরের কুমারপুর এবং আদমপুর বর্ডার আউটপোস্টের মাঝে মহানন্দা নদীতে সন্দেহজনকভাবে মাংসপিণ্ড ভাসতে দেখেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানেরা । সঙ্গে সঙ্গে BSF-র পেট্রোলিং বোট সেগুলি যাচাই করে । কাছাকাছি গেলে দেখা যায় মৃত পশুর মাংস কিংবা চামড়ার সঙ্গে বাঁধা রয়েছে কিছু একটা । তার উপরে চাপানো হয়েছে বিশেষ ধরনের কচুরিপানা । ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যায় কলা গাছের গুঁড়ি রয়েছে সেখানে । আর এতেই সন্দেহ হয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর । পাচার হওয়ার আগেই উদ্ধার হয় গোরুগুলি ৷