কলকাতা, 2 অগস্ট: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর প্রায় 60 বছরের বন্ধুত্ব আজও অটুট ৷ তাই বন্ধু গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতির খবর পেয়ে বুধবার হাসপাতালে এলেন বাম আমলে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন দাদা অতীশ দাশগুপ্ত। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাসপাতালে দেখে অতীশ দাশগুপ্ত বলেন, "আমার বন্ধু বুদ্ধ তাড়াতাড়ি ফিরবে।"
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৷ অতীশ দাশগুপ্ত ছিলেন ইতিহাস বিভাগের এবং অসীম দাশগুপ্ত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র। সে সময় থেকেই তাঁদের বন্ধুত্ব। তারপর সেই সম্পর্ক গড়ায় রাজনীতির অন্দরেও। সেই বন্ধু হাসপাতালে ভরতি ৷ তাঁকে দেখে এসে অসীম দাশগুপ্ত বলেন, "বুদ্ধর পরিবারের সকলের সঙ্গে দেখা হল। ওর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এখন ঘুমাচ্ছে বুদ্ধ ৷ তবে মুখটা দেখে মনে হল আনন্দ ও শান্তিতেই ঘুমাচ্ছে।"
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ভারতীয় রাজনীতিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ একজন চরিত্র। তাঁর মুখে বারবার শোনা গেছে 'লড়াই'-এর স্লোগান। সম্প্রতি বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি ৷ তড়িঘড়ি নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে ৷ দীর্ঘদিন সিওপিডি সমস্যায় ভুগছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তবে মঙ্গলবার ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়েছে তাঁকে ৷ বুধবার হাসপাতাল সূত্রে খবর, কথাও বলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তাঁকে দেখে বেরিয়ে সিপিআই নেতা স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "উনি লড়াইয়ের লোক, লড়াই করে বড় হয়েছেন, লড়াই করেই বেঁচে থাকবেন। আমার মনে হল খুব শীঘ্রই বুদ্ধবাবু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন।"
আরও পড়ুন: আম খেতে চাইলেন বুদ্ধদেব, তবে আপাতত কয়েকদিন হাসপাতালেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
তার কিছুক্ষণ আগে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে এসেছিলেন সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যও। তিনি দেখে এসে বলেন, "বুদ্ধবাবু বাড়ি ফিরতে চাইছেন মানে উনি সুস্থ আছেন ৷ এটাই ওর ধরন একটু সুস্থ হলে বাড়ি ফিরতে চান ৷ আমি যখন গিয়েছিলাম তখন দেখলাম ওর ফিজিওথেরাপি চলছে। চিকিৎসকরা কথা বলানোর চেষ্টা করছিল তবে যেহেতু অক্সিজেন মাস্ক লাগানো ছিল তাই আমি কথা বলিনি। কিন্তু ভালো আছেন বর্তমানে।"