পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : Sep 19, 2020, 7:28 PM IST

ETV Bharat / state

হামলার ছকের বিস্তারিত জানতে চায় NIA, 24 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রানজ়িট রিমান্ড মঞ্জুর

NIA-র আইনজীবী শ্যামল ঘোষ নিজের সওয়াল করতে গিয়ে আদালতে জানান, ধৃতদের কাছে জিহাদি জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে । তারা দেশে নাশকতার ছক করছিল । দিল্লিতেও নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। ধৃতদের ভালোভাবে জেরা করা প্রয়োজন । কারণ পরিকল্পনা অত্যন্ত ভয়ংকর।

terorist
terorist

কলকাতা, 19 সেপ্টেম্বর : মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার ছয় আল কায়দা জঙ্গিকে 24 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রানজ়িট রিমান্ডের অনুমতি দিয়েছে কলকাতার NIA স্পেশাল কোর্ট ৷ আগামী 24 সেপ্টেম্বরের মধ‍্যে দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ় কোর্টে ধৃতদের বিচারকের সামনে হাজির করা হবে। এমনই জানিয়েছেন NIA-র আইনজীবী শ্যামল ঘোষ।

পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ এবং কেরালা এর্নাকুলাম থেকে 9 আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে NIA। গোয়েন্দারা রাতভর অভিযান চালিয়ে এই জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়েছে । তাদের মধ্যে ছয় জন মুর্শিদাবাদের। গোয়েন্দাদের দাবি এই জঙ্গি মডিউলের ভারতে হামলার পরিকল্পনা ছিল । মূলত রাজধানী দিল্লিতে হামলার ছকা কষছিল বলে ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টে জানতে পেরেছিল NIA। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত 11 তারিখে দিল্লিতে দায়ের হয় মামলা (RC case no- 31/2020/NIA/DLI DT11/09/2020)। তারপরই NIA-এর গোয়েন্দাদের একটি দল মুর্শিদাবাদ থেকে এই ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে ৷ আজ তাদের দ্বিতীয় ধাপে কলকাতার NIA স্পেশাল কোর্টে তোলা হলে বিচারক 24 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রানজ়িট রিমান্ডের অনুমতি দেন ৷

ডোমকল থেকে জলঙ্গি । কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া, কেউ আবার পরিযায়ী শ্রমিক। গতরাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের ছটি জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে 6 জনকে । এবিষয়ে NIA-র কাছে ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট ছিল । তার পরিপ্রেক্ষিতে গত 11 সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করে NIA। তারপর থেকেই গোয়েন্দারা বিভিন্ন সোর্স মারফত খবরা-খবর নেওয়া শুরু করেন। সেই সূত্র ধরে আজ NIA-র হাতে মুর্শিদাবাদের গ্রেপ্তার হওয়া নাজমুস সাকিব, আবু সুফিয়ান, মইনুল মণ্ডল, লিউইয়ান আহমেদ, আল মামুন কামাল, আতিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছেন গোয়েন্দারা ।

24 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর

নাজমুস সাকিবের বাড়ি ডোমকলে। ডোমকলের বসন্তপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র । জলঙ্গির ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা আতিউর রহমানও কলেজ পড়ুয়া । আতিউর নদিয়ার করিমপুরে নেতাজি মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র । এই দু'জনের বাড়ি থেকেই মোবাইল, ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ ও বেশকিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে গোয়েন্দারা। জলঙ্গির মধুবনা গ্রামের বাসিন্দা মইনুল । সে পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। কাজ করত কেরালায় । আজ বাড়ির শৌচাগার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন গোয়েন্দারা। মইনুলের মতই মামুনও পরিযায়ী শ্রমিক। ডোমকলের রায়পুর-নাড্ডাপাড়ায় বাড়ি মামুনের । সেও বেঙ্গালুরুতে রাজমিস্ত্রির কাজ করত । অবশ্য বছর দুয়েক আগে বাড়ি ফিরে আসে । তারপর থেকে কখনও গাড়ি চালাত, কখনও আবার রাজমিস্ত্রির কাজ করত। আবু সুফিয়ানের বাড়িও ডোমকলেই । সে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে দিল্লিতে দীর্ঘদিন কাজ করেছে। তবে সম্প্রতি বাড়ি ফিরে একটি লেদ কারখানা তৈরি করেছে বাড়িতে । ধৃতরা প্রত্যেকেই একটি নির্দিষ্ট চ্যাট গ্রুপের মেম্বার বলে জানিয়েছে NIA।

আজ তাদের প্রত্যেককেই NIA-র স্পেশাল আদালতে তোলা হয়। NIA-র আইনজীবী শ্যামল ঘোষ নিজের সওয়াল করতে গিয়ে আদালতে জানান, ধৃতদের কাছে জিহাদি জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে । তারা দেশে নাশকতার ছক করছিল । দিল্লিতেও নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। ধৃতদের ভালোভাবে জেরা করা প্রয়োজন । কারণ পরিকল্পনা অত্যন্ত ভয়ংকর। তিনি বলেন, "আদালত ধৃতদের 24 তারিখ পর্যন্ত ট্রানজ়িট রিমান্ডের অনুমোদন দিয়েছে । যেহেতু এই বিষয়ে প্রধান মামলাটি হয়েছে দিল্লিতে, তাই তাদের দিল্লি আদালতে তোলা হবে।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details