কলকাতা, 29 মার্চ: নতুন ট্রাফিক আইন প্রণয়ন নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে উঠেছে প্রতিবাদ ও বিতর্কের ঝড় ৷ মঙ্গলবার নয়া ট্রাফিক আইন নিয়ে পথে নামল সিটু অনুমোদিত অ্যাপ ক্যাব সংগঠন (App Cab Organization on the way with the new traffic law)। বাম সংগঠনগুলোর ডাকা দু'দিনের ভারত বনধের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই তারাও লাগাতার এই প্রতিবাদ চালিয়ে যাবে ৷
অস্বাভাবিক পেট্রোল-ডিজেলের দাম, পুলিশের হয়রানি ও অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলি যে ক্রমাগত শোষণ চালাচ্ছে, তারই বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সিটু অনুমোদিত কলকাতা ওলা-উবের অ্যাপ ক্যাব অপারেটর অ্য়ান্ড ড্রাইভার্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে রাসবিহারী মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এরপর তাঁরা কালীঘাটে উবের সংস্থার পুরনো অফিসের সামনে ধর্নায় বসে পড়ে।
আরও পড়ুন :App Cab AC Problem : মার্চের গরমেও এসি চালাচ্ছেন না অ্যাপ ক্যাব চালকরা ! সমাধানে সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি
পেট্রোল ও ডিজেলের দাম 100 টাকা ছাড়িয়েছে। তবুও কমিশন বাড়েনি। রাজ্য পরিবহণ দফতরের প্রকাশিত নতুন নির্দেশিকাও এখনও বলবৎ করা হয়নি। তাই অ্যাপ ক্যাব চালক ও মালিকরা যে ভোগান্তির মধ্যে ছিল সেই ভোগান্তির মধ্যেই রয়ে গিয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, যে যে নতুন ট্রাফিক আইন লাগু করা হয়েছে তা অযৌক্তিক। কারণ সারাদিনে 500 টাকার উপার্জন করে 5,000 হাজার টাকার ফাইন দেব কি করে? তাঁদের মূল দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে, গাড়ির কিলোমিটার পিছু টাকা স্থির করতে হবে। সেই সঙ্গে সব বন্ধ আইডি খুলে দেওয়া ও আইডি ভেরিফিকেশন ছাড়া বন্ধ করা যাবে না। পুলিশের জুলুম বন্ধ করতে হবে। 500, 1,000, 5,000 ও 10,000 হাজার টাকার ফাইন নেওয়া বন্ধ করতে হবে। বৈধ কাগজ থাকা সত্ত্বেও পলিউশন কেস দেওয়া বন্ধ করতে হবে। ড্রাইভারকে তাঁর যোগ্য সন্মান দিতে হবে। প্যাসেঞ্জারদের পিকআপ এবং ড্রপ করার সময় পাঁচ মিনিট টাইম দিতে হবে। সিগন্যাল ভায়োলেশনের নামে অযথা হয়রানি ও ইচ্ছেমতো কেস দেওয়া চলবে না।
অ্যাপ ক্যাব সংগঠনের প্রতিবাদ সংগঠনের সভাপতি ইন্দ্রজিত ঘোষ বলেন, "পেট্রোল ও ডিজেলের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি হচ্ছে ৷ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মানুষ মারা নীতি নিয়ে চলছে। সারাদিন গাড়ি চালিয়ে নুন্য়তম খরচটুকু উঠছে না। আমরা অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলিকে বারবার জানাচ্ছি যে নয় ভাড়ার সংস্কার করুন, নয়তো কমিশনের টাকা বাড়াক। কিন্তু কোনও জায়গা থেকে থেকে সদুত্তর পাচ্ছি না বলে অবশেষে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে আমরা বাধ্য হচ্ছি।"
পাশপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, দু'চাকার বাইকের কমার্শিয়াল লাইসেন্সের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কারণ সরকারিভাবে বাইক, ট্যাক্সির ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৷ তা সত্ত্বেও প্রাইভেট লাইসেন্স বলে পুলিশ কমপক্ষে 5,000 টাকা জরিমানা করে। এছাড়াও তাঁরা দাবি তোলেন, অবিলম্বে জ্বালানি তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।