পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

TET Agitation: 'তৃণমূল সরকারকে ধিক্কার', টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলনে পুলিশি জুলুমের প্রতিবাদে সরব অপর্ণা

আন্দোলনকারীদের শেষ পর্যন্ত তাঁদের গ্রেফতার করে, কার্যত মারধর করে আন্দোলন তুলে দেয় পুলিশ (TET Agitation) । এবার এই ঘটনাতেই সরব হলেন অপর্ণা সেন (Aparna Sen slams TMC Government) ।

Etv Bharat
Etv Bharat

By

Published : Oct 21, 2022, 3:34 PM IST

Updated : Oct 21, 2022, 4:31 PM IST

কলকাতা, 21 অক্টোবর: অধিকার আদায়ের দাবিতে পথে নেমেছেন টেট উত্তীর্ণরা (TET Agitation) । পালটা হাইকোর্টে গিয়েছে শিক্ষা পর্ষদ । করুণাময়ীতে জারি হয়েছে 144 ধারা । গ্রেফতারি এড়াতে রাতেই পাঁচজন করে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা । যদিও শেষ পর্যন্ত তাঁদের গ্রেফতার করে, কার্যত মারধর করে আন্দোলন তুলে দেয় পুলিশ । এবার এই ঘটনাতেই সরব হলেন একাধিক বুদ্ধিজীবী (Aparna Sen slams TMC Government) ।

শুক্রবার অপর্ণা সেন টুইট করেন, 'তৃণমূল সরকার অনশনকারীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। অহিংস আন্দোলনে 144 ধারা জারি হল কেন? পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই অগণতান্ত্রিক এবং অনৈতিক কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।'

অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে গত কয়েক দিন ধরে আন্দোলনে বসেছিলেন 2014 সালের টেট উত্তীর্ণরা ৷ তাঁদের কয়েকজন আবার আমরণ অনশনও শুরু করেন ৷ আন্দোলনকারীদের তুলতে এরপর কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকার ৷ আন্দোলনস্থলে জারি করা হয় 144 ধারা ৷ আদালতও জানিয়ে দেয়, আন্দোলনকারীদের 144 ধারা মানতেই হবে ৷ এরপর ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে অভিনব কায়দায় বিক্ষোভ দেখা শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা ৷ কিন্তু, এই পন্থা অবলম্বন করেও পুলিশকে ঠেকানো যায়নি ৷ পুলিশের তরফে আন্দোলনকারীদের উঠে যেতে বলা হয় ৷ অনুরোধ, অনুনয়, হুঁশিয়ারি কোনও কিছুতেই কাজ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত অভিযানে নামে পুলিশ ৷ আন্দোলনকারীদের টেনে, হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যায় আন্দোলনস্থল ৷ এরপর 2017 সালের টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ আন্দোলনও উঠিয়ে দেয় পুলিশ ৷

আরও পড়ুন: ঘোষিত প্রাইমারি টেট পরীক্ষার দিন, নিয়োগ প্রায় 11 হাজার শিক্ষক পদে

এপিসি ভবনের সামনে এই ধর্নার বিরোধিতা করে হাইকোর্টে গিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । দাবি, পালটা দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল সল্টলেক (Job seekers in do or die fight) । তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, এই দাবি কিছুতেই মানা সম্ভব নয় । বরং ইন্টারভিউয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে । সেখানে সবাই অংশ নিক । আইনি যে নিয়ম রয়েছে তা মেনেই নিয়োগ হবে । একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, পর্ষদের পক্ষে সিট বাড়ানো কখনও সম্ভব নয় । যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সরকার নেবে ।

Last Updated : Oct 21, 2022, 4:31 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details