কলকাতা, 15 জুলাই :কলকাতার হরিদেবপুর থেকে ধৃত 3 জেএমবি জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অপর একজনের খোঁজ পেলেন কলকাতা পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা । গ্রেফতার করা হয়েছে লালু সেন ওরফে রহুল সেন ওরফে রাহুল কুমারকে ।
জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তি ধৃত তিন জঙ্গির ভারতীয় পরিচয় পত্র বানিয়ে দেওয়ার কাজ করত । পাশাপাশি হুন্ডির মাধ্যমে তাদের টাকা পৌঁছে দিত । তাছাড়াও তাদের একাধিক উপায়ে সাহায্য করত সে । ধৃত লালু ওরফে রহুল সেনের সঙ্গে অপর অভিযুক্ত সেলিম মুন্সির ওতপ্রোতভাবে যোগাযোগ রয়েছে বলে সন্দেহ কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের । সেলিম বর্তমানে পলাতক ৷
আরও পড়ুন:জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহর সঙ্গে যোগ ছিল ধৃত 3 জেএমবি জঙ্গির
এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের যুগ্ম নগরপাল (এসটিএফ) ভি সলেমন নেশা কুমার বলেন, গতকাল রাতে উত্তর 24 পরগনার বারাসত থেকে লালু সেন ওরফে রাহুলকে গ্রেফতার করা হয় । তার কাছ থেকে বেশকিছু বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং নকল পরিচয় পত্র তৈরি করার সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে । তার কাছ থেকে মিলেছে একাধিক ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ, মোবাইল ফোন এবং বেশ কিছু বাংলাদেশি সিম কার্ড । বারাসত থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত কাছে হওয়ায় সে সেখানে গা ঢাকা দিয়েছিল ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, কলকাতা থেকে ধৃত তিন জঙ্গির নিয়মিত যোগাযোগ ছিল জেএমবি শীর্ষ নেতা আল আমিনের সঙ্গে । গোয়েন্দারা মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গে স্লিপার সেল পুনরায় সক্রিয় করাই ছিল ধৃত জঙ্গিদের মূল উদ্দেশ্য ৷
আরও পড়ুন:জেএমবি শীর্ষ নেতার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল ধৃত তিন জঙ্গির
2014 সালের অক্টোবরে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতার ফলে কিছুটা হলেও পশ্চিমবঙ্গে কোমর ভেঙে গিয়েছিল জেএমবি-র । লালবাজার সূত্রে খবর, রাজ্যে জেএমবি-র নিষ্ক্রিয় স্লিপার সেলগুলিকে পুনরায় সক্রিয় করার উদ্দেশ্যেই ধৃত তিনজনকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল । একইসঙ্গে বাংলার সংরক্ষিত জায়গাগুলিতে নিজেদের জায়গা করে নিয়ে, সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরারও উদ্দেশ্য ছিল তাদের । এই বিষয়ে বাংলাদেশ থেকেই সাহায্য আসতো বলে জানা গিয়েছে ।