কলকাতা, 26 অক্টোবর:ফের একবার বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মহম্মদ বিন তুঘলক রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতায় স্থানান্তর করেছিলেন। এর সঙ্গেই, বিজেপিকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিজেপি মহম্মদ বিন তুঘলকের মতো ইতিহাস পালটানোর চেষ্টা করছে ৷ যিনি দিল্লি থেকে কলকাতায় রাজধানী স্থানান্তর করেছিলেন বলে শোনা যায়।
এদিন কালীঘাটের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি শুনেছি মহম্মদ বিন তুঘলক দিল্লি থেকে কলকাতায় রাজধানী পরিবর্তন করেছেন। আমি কখনও রাস্তার নাম ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করতে শুনিনি। কোনও রাস্তার নাম, স্থাপত্যের নাম যদি কোনও বিপ্লবীর নামে রাখা হয় তাহলে কোনও অসুবিধা নেই ৷ কিন্তু এভাবে ইতিহাস বদলানো সম্ভব কীভাবে ?"
কেন্দ্রের নোটবন্দী, জিএসটি-র সিদ্ধান্তেরও এদিন তীব্র সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ তিনি বলেন, "1000 তারপর 2000 টাকার নোট প্রচলন থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে ৷ এখন পাঠ্যপুস্তকগুলি পরিবর্তন করার প্রচেষ্টা চলছে। এসব কী ? বিজেপি কি তুঘলকের মতো ইতিহাস বদলানোর চেষ্টা করছে ?"
উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিং-এর শাসনকালে ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী পূর্ববর্তী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়। অন্যদিকে, মহম্মদ বিন তুঘলক রাজধানী দিল্লি থেকে দেবগিরিতে স্থানান্তরিত করে দৌলতাবাদ নামকরণ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী সম্ভবত দেবগিরিকে কলকাতার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন বলেই মনে করছেন অনেকে।
মাস দুই আগে, বলিউডের চলচ্চিত্র নির্মাতা রাকেশ রোশনের সঙ্গে মহাকাশচারী রাকেশ শর্মাকে ভুল করার পরে সোশাল মিডিয়ায় মমতাকে তীব্র ট্রোল করা হয় ৷ চন্দ্রযান মিশনের সাফল্যের জন্য ইসরো-কে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, "রাকেশ রোশন যখন চাঁদে অবতরণ করেছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, সেখান থেকে ভারত কেমন দেখাচ্ছে ?" এর কয়েকদিন পরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময়ও মুখ্যমন্ত্রী দাবি করে আরও একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন, ইন্দিরা গান্ধি চাঁদে গিয়েছিলেন ৷
আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতনের ফলকে ব্রাত্য স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ! আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মমতার
এর আগে, মমতা বারবার নোবেল বিজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'অভিষেক বাবু' বলে উল্লেখ করেছিলেন। 2019 সালে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেছিলেন, "বাংলা থেকে অমর্ত্য সেন, মাদার তেরেসার মতো মানুষ আছেন যারা নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ৷ এখন অভিষেক বাবু (অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়) পুরস্কার পেয়েছেন ৷ যা অত্যন্ত গর্বের বিষয় রাষ্ট্রের জন্য।"