কলকাতা, 26 মে : কথায় বলে 'কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ' । আমফান-ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমবঙ্গ যেন এই বাংলা প্রবাদেরই আক্ষরিক অর্থ গ্রহণ করেছে । একদিকে, আমফান ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ায় দক্ষিণবঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিশাল, লাখ লাখ মানুষ বাস্তুহারা । নষ্ট হয়ে গিয়েছে জমির পর জমি ফসল । ভেঙে গিয়েছে গাছ । এখনও বহু জায়গাতেই পানীয় জল, বিদ্যুতের হাহাকার । তেমনই অন্যদিকে, লকডাউনের ফলে দুই মাস কর্মহীন বহু শ্রমিক ও ইলেকট্রিশিয়ান যেন এই আমফানের ফলেই নতুন করে জীবিকার সুযোগ পেয়েছেন ।
পাঁচ দিনেরও বেশি সময় ধরে বহু জায়গায় বিদ্যুৎ ও পানীয় জল নেই । বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের দাবিতে মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে । তারই মধ্যে উপড়ে পড়া গাছ রাস্তা থেকে সরানোর জন্য ও বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনর্নির্মাণের কাজে বহু শ্রমিক ও ইলেকট্রিশিয়ানদের নিযুক্ত করেছে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলির প্রশাসন ।
কলকাতা পৌরনিগমের এক কাউন্সিলর বলেন, "লকডাউনের জেরে কর্মীরা কাজে আসতে পারছেন না । তাই লোকবল কমে গিয়েছে । সেই কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ সরানোর কাজে স্থানীয় কর্মীদের সাহায্য নেওয়া হবে । যদিও বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করার কাজ CESC-রই । রাস্তা-ঘাটে চারপাশে বিদ্যুতের তার পড়ে রয়েছে । সেগুলি সরানোর জন্য স্থানীয় ইলেকট্রিশিয়ানদের সাহায্য নেওয়া আমাদের প্রয়োজন ।" শুধু কলকাতা পৌরনিগমই নয়, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম পৌরসভাও স্থানীয় শ্রমিকদের রাস্তা থেকে গাছ সরানোর কাজে নিযুক্ত করেছে ।