কলকাতা, 17 ডিসেম্বর: গরুপাচার (Cattle Smuggling) নিয়ে বারবার বিএসএফের (BSF) বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে (Trinamool Congress) ৷ সীমান্ত রক্ষায় যেহেতু এই আধা সামরিক বাহিনী থাকে, তাই এর দায় কেন্দ্রকেও নিতে হবে একাধিকবার দাবি করেছে ঘাসফুল শিবির ৷ কিন্তু শনিবার নবান্নে বসে সম্পূর্ণ উলটো কথা বলে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ৷ তাঁর মতে, সীমান্তরক্ষার দায়িত্ব যতটা বিএসএফের, ততটাই দায়িত্ব বর্তায় সংশ্লিষ্ট রাজ্যেরও ৷
পশ্চিমবঙ্গে যেহেতু একদিকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে অন্যদিকে রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের সীমানা, এদিন বৈঠকে আলোচনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল সীমান্ত সমস্যা। আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে এদিন একদিকে যেমন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হয়েছেন, একইভাবে তিনি সরব হয়েছেন যে রাজ্য গুলির সীমানায় যেভাবে চোরা চালান থেকে শুরু করে গরুপাচার বাড়ছে তা নিয়েও। এদিন সমস্ত 'বন্ধু' রাজ্যকে এই চোরাচালন বন্ধে এক হয়ে কাজ করার ডাক দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
যদিও এই নিয়ে প্রশাসনের তরফে এই নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু জানাননি ৷ তবে বৈঠকে এই অমিত শাহ এই কথা বলেছেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর মিলেছে ৷ ওই সূত্র জানিয়েছে, এদিন বৈঠকের অ্যাজেন্ডাতে সীমান্ত সমস্যা ছিল ৷ দুপুর একটার পর বিষয়টি ওঠে ৷ বিএসএফের ডিজি পঙ্কজকুমার সিং সীমান্ত সমস্যা নিয়ে সরব হন ৷ রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৷ সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা ক্ষোভপ্রকাশ করতে দেখা যায় ৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে যে 2000 কিলোমিটারের বেশি আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। সেখানে বিএসএফের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে বাড়ছে চোরাচালান।" অন্যদিকে পালটা বিএসএফ-এর তরফ থেকে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য জমি পাওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের অসহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। এই নিয়ে যখন পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয় বলে খবর।