কলকাতা, 11 নভেম্বর: প্রাণীকূলকে বাঁচাতে বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণ রোধে ‘আমি বাজি পোড়াবো না ও অন্যকেও বাজি পোড়াতে দেব না' , এই অঙ্গীকারে আবদ্ধ হতে আবেদন আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের ৷ কারণ, বাজির ধোঁয়ায় বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন এবং সালফার-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ৷ মাটিতে মেশে পটাশিয়াম কার্বনেট, সালফেট ও অবিকৃত সালফার ৷ অন্যান্য আতশবাজি থেকে ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, লেড, কপার, সোডিয়াম ও ক্যাডমিয়ামের মতো ভারী মৌল মাটি ও বাতাসে মেশে ৷ সঙ্গে শব্দদানবের দাপট এবং বাজির চোখ ঝলসানো আলো, যা প্রাণীকূলের জন্য প্রাণনাশী ৷
শব্দবাজির তাণ্ডব ও তার ভয়াবহতা কতটা মারাত্মক হতে পারে, সম্প্রতি ইডেন গার্ডেন্সে বিশ্বকাপের ম্যাচে দেখা গিয়েছে ৷ কলকাতা মাউন্টেড পুলিশের ঘোড়ার মৃত্যুর ঘটনা অন্যতম উদাহরণ ৷ তাই দীপাবলির আলোর উৎসবকে শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণে পরিণত না করার আবেদন আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের ৷ চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর আইএফএস শুভঙ্কর সেনগুপ্ত ইটিভি ভারতকে বলেন, "চিড়িয়াখানার ক্যাম্পাসের ভিতরে বাজি পোড়ানো বা ফাটানো সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ৷ এমনকি আলোর উৎসব হলেও, সেভাবে চিড়িয়াখানায় আলো লাগানো হয় না ৷ কারণ, জীবজন্তুর নানান রকম সমস্যা হয় ৷ জীবজন্তু প্রাণ রক্ষা করা আমাদের অন্যতম কাজ ৷"
কিন্তু, রাস্তাঘাটে বা চিড়িয়াখানার আশেপাশে তো আকছাড় বাজি পোড়ানো বা শব্দবাজি ফাটানো হয় ৷ যা নিয়ে ডিরেক্টরের বক্তব্য, "চিড়িয়াখানার বাইরে রাস্তায় কেউ বাজি ফাটালে বা বাজি পোড়ালে আমাদের কিছু করার থাকে না ৷ তার দূষণ তো ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলেই ৷ তাই স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তো বটেই, সাধারণ নাগরিকের কাছেও আবেদন বাজি পোড়ানো বা ফাটানো থেকে দূরে থাকুন ৷ আলোর উৎসবে সকলে শামিল হন ৷" কিন্তু, বেপরোয়া লোকজন যারা শব্দবাজি ব্যবহার করবেন, তাদের বিরুদ্ধে যাতে করা পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তার জন্য সরকার এবং প্রশাসনিক স্তরে আবেদন জানানোর কথা বলেন আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর ৷