কলকাতা, 16 নভেম্বর: আগামী 21 থেকে 23 নভেম্বর রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বেঙ্গল বিজনেস সামিট। দলমত নির্বিশেষে বাংলার উন্নতির স্বার্থে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আগ্রহী অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। আর সেই অনুষ্ঠানে হাজির হতে চেয়ে অনুমতি নিতে শুক্রবার নবান্নে যাচ্ছে মহাসভা।
অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের বেঙ্গল বিজনেস সামিটে উপস্থিত থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী তাঁরা। এই বিষয় অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের স্বার্থে সরকারের পাশে থাকার জন্য আবেদন করতে চাই। আমরা পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক দল হলেও আমরা বিশ্বাস করি বিষয়টা যখন উন্নয়নের, তখন দলমত নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিতভাবে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে সচেষ্ট হওয়া উচিৎ।"
মহাসভার মতে বিগত বছর বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে উপস্থিত থাকার সুযোগ হয়নি। কিন্তু এই বছর 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' নির্ধারণের বৈঠকে নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বসমক্ষে এবং পরবর্তীকালে একান্ত ব্যক্তিগত আলোচনার সময়েও মহাসভা প্রস্তাব দেয় যেন রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাশে থাকা যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া কথার প্রেক্ষিতেই হিন্দু মহাসভা পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক দল হলেও উন্নয়নের স্বার্থে সরকারের শুভ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আগামী বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে উপস্থিত থাকতে আগ্রহী।
এমনকী তারা এও আবেদন জানাতে চলেছে, এই বিজনেস সামিটে সরকারি হোক বা বিরোধী দল সবকটি রাজনৈতিক দলকেই যেন ডাকা হয়। তবে অন্যান্য রাজনৈতিক দল যদি নাও যায় সেক্ষেত্রেও হিন্দু মহাসভা অবশ্যই উপস্থিত থাকতে আগ্রহী । চন্দ্রচূড়ের মতে রাজনৈতিক মতপার্থক্য রাজনৈতিক দল গুলির মধ্যে থাকতেই পারে, কিন্তু বিষয়টা যখন রাজ্যের উন্নয়ন তখন অবশ্যই সকলের একজোট হয়ে চেষ্টা করা উচিত। তিনি দাবি করে জানান, যেহেতু অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা ভারতবর্ষের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল, তাই বাংলার উন্নয়নের প্রতি মহাসভার আবেগ বেশি থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন
- জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের অন্যতম অভিযুক্ত সিপিএম নেতা গ্রেফতার, আটক আরও চারজন
- কলকাতায় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব, সঙ্গী পুত্র তেজস্বী