কলকাতা, 28 মার্চ: কলকাতার রাজপথে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটনায় মাঝেমধ্যেই ব্যাকফুটে আসতে হয় পুলিশকে ৷ উন্মত্ত জনতার ইট বৃষ্টি থেকে শুরু করে, কাঁচের বোতল ছোড়া ৷ বিক্ষোভে সামিল হওয়া জনরোষ ঠেকানো সবসময় সম্ভব হয় না পুলিশের পক্ষে ৷ আবার অনেক সময় বিক্ষোভকারীদের দিকে তাক করে টিয়ার গ্যাস ফায়ারিংয়ের ক্ষেত্রেও ভুল করে ফেলেন পুলিশ কর্মীরা ৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে, পুলিশ কর্মীদের অজ্ঞতাও চোখে পড়ে ৷ এই সব সমস্যার সমাধানের জন্য এবার বিশেষ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করছে লালবাজার (Joint Commissioner to Train Cops in Tear Gas Firing) ৷ আর সেই প্রশিক্ষণ দেবেন কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি (ট্রেনিং) মেহমুদ আখতার ৷
লালবাজারের তরফে দেওয়া খবর অনুযায়ী, কলকাতা পুলিশের সকল কমব্যাট ফোর্স এবং পুলিশ বাহিনীকে টিয়ার গ্যাস ফায়ারিংয়ের বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হবে ৷ আর এই কর্মকাণ্ডের দায়িত্বে থাকবেন কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি (ট্রেনিং) মেহমুদ আখতার ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, গতকাল তিলজলায় 7 বছরের নাবালিকাকে খুন এবং যৌন হেনস্থার ঘটনায় দফায় দফায় উত্তেজনো ছড়ায় বন্ডেল গেট চত্বরে ৷ বিক্ষভকারীরা রেললাইনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ৷ যার জেরে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল প্রায় 4 ঘণ্টা বন্ধ থাকে ৷ এমনকি রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা ৷
সেই ঘটনায় বেলা 12টা থেকে বন্ডেল গেট চত্বর উত্তাল হয়ে ওঠে ৷ বেশ কয়েক হাজার লোক পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে ৷ দোকানপাট বন্ধ করে চলে বিক্ষোভ ৷ ভাঙচুর করা হয় পুলিশ কিয়স্ক ও গাড়ি ৷ পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা ৷ তিলজলা থানার পাশাপাশি গড়ফা, বেনিয়াপুকুর, কসবা থানার ওসি এবং প্রত্যেকটি ডিভিশনের দু’জন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার-সহ চারজন আইপিএস-এর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ৷ কিন্তু, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় পুলিশকে ৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অনেকটা সময় পেরিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে ৷