কলকাতা, 29 জুন:নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের সম্পত্তির সূত্র ধরে অভিনেত্রী তথা যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। গত মঙ্গলবার ইডির তরফে সায়নী ঘোষকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে খবর। আর বুধবার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে তিনি নেই বলেও জানান সায়নী ঘোষের পরিবারের সদস্যরা ৷
ইডির তলবের পর থেকেই দক্ষিণ কলকাতার বিক্রমগড়ের বাড়িতে তিনি নেই। সায়নীর বাবা অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বুধবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ সায়নী ঘোষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ৷ তবে কোথায় তিনি গিয়েছেন, কেন গিয়েছেন বা কখন ফের ফিরে আসবেন, সে বিষয়ে কিছুই বলে যাননি। এরপরই সায়নীর বাবা জনান, মেয়ের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এদিকে শুক্রবার সকাল 11 টায় ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা সায়নী ঘোষের। ইডি সূত্রে খবর, এদিন দুপুর পর্যন্ত সায়নী ঘোষের তরফে কোনও চিঠি তারা পাননি। সায়নী ঘোষ নিজেও দেখা করেননি বা যোগাযোগ করেননি। তাঁর তরফে কোনও আইনজীবীও ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেননি। ফলে শুক্রবার নির্ধারিত সময়ে সায়নী ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন বলেই মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
কিন্তু, বুধবারের পর থেকে তাঁর পরিবার যেমন সায়নীর বিষয়ে কিছু জানেন না বা যোগাযোগ করতে পারছেন না, একইভাবে তৃণমূলের দলীয় কর্মী নেতারাও তাঁর সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করতে পারছেন না বলেই সূত্রের দাবি। এরকম পরিস্থিতিতে সায়নী ঘোষ কোথায়, সে বিষয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার শেষবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের মাঝের গ্রামে ছিলেন সায়নী ঘোষ। বুধবার পূর্ব বর্ধমানেরই জামালপুর বিধানসভা এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে তাঁর যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সায়নী ঘোষের অনুপস্থিতে জেলা নেতাদের দিয়েই ভোট প্রচারের কাজ সারতে হয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। ভোট প্রচারে আসার কথা থাকলেও কেন সায়নী ঘোষ আসেননি, তা অজানা।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে দেখে নয়াগ্রামে ‘চোর’ স্লোগান, তৃণমূলকে পালটা হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার
বহু চেষ্টা করেও দলীয় কর্মীরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। মঙ্গলবার তিনি যখন ভোটের কাজে ব্যস্ত ছিলেন সে সময় ইডি তরফে তাকে নোটিশ পাঠানো হয় বলেই তিনি জানতে পারেন। এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি সায়নীর তরফে। কিন্তু তারপর থেকে তার এই বেপাত্তা হওয়ার বিষয় নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এখন দেখার তিনি আদৌ আগামীকাল ঈদের দপ্তরে হাজিরা দেন কিনা।