পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

EC-তে কাটল না যাদবপুরের ভরতি জট

যাদবপুরের ভরতি জট কাটল না এখনও । প্রবেশিকা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত গেল অ্যাডমিশন কমিটিতে ।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

By

Published : Apr 23, 2019, 9:01 AM IST

Updated : Apr 23, 2019, 4:47 PM IST

কলকাতা, 23 এপ্রিল : আশঙ্কা আগেই ছিল । তা সত্যি করে দুই বিভাগের 100 শতাংশ প্রবেশিকা পরীক্ষার ভিত্তিতে ভরতির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য ফের অ্যাডমিশন কমিটিতেই ফেরত পাঠাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিল । বিভাগ দুটি হল ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য । ফলে এখনও কাটল না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি জট । এছাড়া, গতকালের EC বৈঠকে ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজির ডিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যকে তিন মাসের জন্য আর্টস ফ্যাকাল্টির ডিনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গতবছর আর্টস ফ্যাকাল্টির ছয়টি বিভাগের প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে । প্রবেশিকা পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করেও পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । তারপরে এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে প্রবেশিকা পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ যাদবপুরের ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করে । আন্দোলন পৌঁছায় অনশনে । শেষ পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলনের চাপে 50 শতাংশ প্রবেশিকা পরীক্ষা ও 50 শতাংশ উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমতুল্য পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে ওই ছয়টি বিভাগে ভরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় । তারপরে ইতিহাস বিভাগের মেধাতালিকায় গন্ডগোল দেখা দেয় । অভিযোগ উঠে ইংরেজি বিভাগের মেধাতালিকা নিয়েও । প্রবেশিকা অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গঠন করে একটি তদন্ত কমিটি । সেই তদন্ত কমিটি সুপারিশ করেছিল, মেধাতালিকা তৈরি করতে 50 শতাংশ প্রবেশিকা পরীক্ষা থেকে নেওয়া হোক, বাকি 50 শতাংশ নেওয়া হোক উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমতুল্য পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর থেকে ।

এই বছর ভরতির নিয়মনীতি ঠিক করার জন্য এই মাসে আর্টসের অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠক হয় । যেখানে আর্টস ফ্যাকাল্টির অন্যান্য বিভাগগুলো গতবছরের নিয়ম মেনে ভরতি করার সিদ্ধান্ত নেয় । কিন্তু, ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ সিদ্ধান্ত নেয় তারা গতবছরের আগে যে নিয়মে ভরতি করতেন, সেই নিয়মেই ভরতি করবেন । অর্থাৎ, 100 শতাংশ প্রবেশিকা পরীক্ষার ভিত্তিতেই ছাত্র ভরতি করবে । সূত্রের খবর, তারপরই উপাচার্য সুরঞ্জন দাস আর্টসের ডিন এবং ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্যের শিক্ষকদের ডেকে কথা বলেন। সেই আলোচনায় তিনি 100 শতাংশ প্রবেশিকা পরীক্ষার ভিত্তিতে ভরতি না করে, প্রবেশিকা ও উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমতুল্য পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ভরতির পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে জানা গেছিল । তারপরই অধ্যাপক মহলে জল্পনা চলছিল যে, অ্যাডমিশন কমিটির সিদ্ধান্ত EC থেকে আবার অ্যাডমিশন কমিটিতেই পাঠানো হতে পারে । আজ EC বৈঠকে সেটাই করা হল ।

দেখুন ভিডিয়ো

এ বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য প্রদীপকুমার ঘোষ বলেন, "অ্যাডমিশন কমিটিতে পাঠানো হয়েছে পুনর্বিবেচনা করার জন্য । এনকোয়েরি কমিটির সাজেশন অনুযায়ী পুনর্বিবেচনা করতে বলা হয়েছে ।" তদন্ত কমিটির সুপারিশ বলতে প্রবেশিকা ও উচ্চমাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরের 50:50 অনুপাতকেই বোঝানো হয়েছে । ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজির ডিন ও আর্টসের ডিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "দুটো বিভাগ, ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য । ওরা বলেছিল, গোটাটাই অ্যাডমিশন টেস্টের মাধ্যমে করবে । ওটা আবার অ্যাডমিশন কমিটিতে ফেরত পাঠানো হল । ওদেরকে বলা হয়েছে, যদি অ্যাডমিশন টেস্ট নিতেই হয় তাহলে 50:50 -র ভিত্তিতে জিনিসটা করার জন্য বিবেচনা করতে । সেটা এবার অ্যাডমিশন কমিটিতে যাবে । সেখানেই জিনিসটা নিয়ে আলোচনা হবে ।" এই বছর সায়েন্সেরও কয়েকটি বিভাগ প্রবেশিকার মাধ্যমে ভরতি করার কথা ভাবছিল বলে জানা গেছিল । যদিও, তা নিয়ে সায়েন্সের অ্যাডমিশন কমিটিতে কোনও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় তা EC বৈঠকে পেশ করা হয়নি।

Last Updated : Apr 23, 2019, 4:47 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details