কলকাতা, 6 এপ্রিল:রামনবমী থেকে শিক্ষা নিয়ে হনুমান জয়ন্তীতে আর ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি রাজ্য় প্রশাসন ৷ বরং হাইকোর্টের পরামর্শ মেনে নবান্নের তরফে রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করতে এদিন তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। সেই মতো চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এবং কলকাতায় মোট এই তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মোতায়ন করা হয়েছে। ইতিমধ্য়েই এলাকায় রুট মার্চও শুরু করেছে বাহিনী ৷
হাওড়াী পর রিষড়া ৷ রামনবমীর মিছিল বা শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ৷ একের পর এক দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়, আগুন লাগানো হয় গাড়ি-বাইকেও ৷ পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খায় পুলিশ ৷ কোনও অবস্থাতেই রামনবমীর সেই ঘটনার পুণরাবৃত্তি যাতে আর না ঘটে সে কারণে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য় প্রশাসন ৷ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পরামর্শও দেয় নবান্ন ৷ বুধবার রাত থেকেই একাধিক জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চের খবর পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত নবান্ন সূত্রে খবর, কলকাতায় একবালপুর, পোস্তা-সহ একাধিক জায়গা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দখলে চলে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষ্য়ে কলকাতায় এদিন পাঁচ থেকে ছয়টি মিছিল বেরোবে ৷ এর মধ্যে দু'টি শোভাযাত্রা হাওড়ার দিক থেকে এসে বড়বাজার ও পোস্তায় শেষ হবে। অন্য় আর একটি শোভাযাত্রা ভূতনাথ মন্দির থেকে শুরু হবে বলে খবর। পাশাপাশি বন্দর এলাকা থেকেও একটি মিছিল হওয়ার কথা আছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এদিন হনুমান জয়ন্তীর যে সব মিছিল হবে সেই সবগুলির ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। এমনকি পুলিশদের বডি ক্য়ামেরা আজ বাধ্য়তামূলক করা হয়েছে ৷