কলকাতা, 18 ডিসেম্বর: দিল্লি সফর শুরুতেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোটবদ্ধভাবে আক্রমণ রাজ্যের বিরোধী শিবিরের ৷ আগামিকাল মঙ্গলবার এবং পরের দিন বুধবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। আগামিকাল 'ইন্ডিয়া' জোটের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর ৷ বুধবার তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। আর মঙ্গলবারের জোটের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগেই জোট শরিক কংগ্রেস এবং সিপিএম-এর তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানানো হল। আক্রমণের বিষয় অবশ্যই রাজ্যের দাবি-দাওয়া নিয়ে মোদি-মমতা বৈঠক।
প্রসঙ্গত, রবিবার দিল্লিতে পৌঁছেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সোমবার দুপুর তিনটে তৃণমূল সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে মূলত দলের রণকৌশল ঠিক করবেন তিনি। এরপর এদিনই সোনিয়া গান্ধি, মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর ৷ যদিও এই বৈঠকের আগেই বিরোধীরা কটাক্ষ করেছেন ৷ এদিন মোদি-মমতা বৈঠক প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, "বাংলাকে টাকা না দেওয়া নিয়ে হিসাব আমরাও চেয়েছি। এক বাহানা নিয়ে বারবার দিল্লি যাচ্ছেন তিনি (মুখ্যমন্ত্রী)।"
অধীর চৌধুরী আরও বলেন, "সত্যিই গরীব মানুষের টাকা আদায় করার ইচ্ছা থাকলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপোর উচিত নরেন্দ্র মোদির দরজার সামনে অবস্থানে বসে যাওয়া। যদি দম থাকে, যদি সত্যিই বাংলা বঞ্চিত হয়ে থাকে, তাহলে পিসি আর খোকাবাবু মিলে প্রধানমন্ত্রীর দরজার সামনে অবস্থান-অনশনে বসুন।"
এদিন শুধুমাত্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নয়, এই একই বিষয় নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। এদিন তাঁর আক্রমণ ছিল আরও তীক্ষ্ণ। তিনি বলেন, "ইন্ডিয়া-র বৈঠকে যেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দিচ্ছেন তার পরের দিনই তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। সেখানে পিসির সঙ্গে ভাইপোও থাকবেন। এই বৈঠকে কাগজপত্র, বা অন্য কোনও অফিসাররা থাকবেন না। রাজ্যের জন্য উনি যাচ্ছেন না" সুজন চক্রবর্তীর কথায়, "পিসি এবং ভাইপোকে যাতে বাঁচানো যায় সেই জন্যই যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"