কলকাতা, 19 অগাস্ট: রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ড্রাগের ঠেকে পরিণত হয়েছে ৷ একই সঙ্গে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব়্যাগিং বিরোধী কড়া আইন দরকার বলে মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শনিবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে অধীর চৌধুরী অভিযোগের সুরে বলেন, "রাজ্যের স্কুলেও ড্রাগ পাওয়া যাচ্ছে। কলেজেও ড্রাগ পাওয়া যাচ্ছে। কড়া হাতে পুলিশ প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।"
যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে অধীর চৌধুরীকে এদিন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি ব়্যাগিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিষিদ্ধ করার আইন নিয়ে আসুক। ছাত্রছাত্রী প্রাণ দেবে না শিক্ষাঙ্গনে। শিক্ষার কলুষিত পরিবেশের জন্য প্রাণ দিতে হল।"
যাদবপুরে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, "সবার গায়ে আতর ছড়ানোর ব্যবস্থা। চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। এগুলো হল সব হয়ে যাওয়ার পর লোক দেখানো কিছু বন্দোবস্ত চলছে। পুলিশি তৎপরতা দেখতে চাইছে বাংলার মানুষ। মিথ্যা সাজিয়ে নির্দোষকে দোষী যেন না-বানানো হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাদকের ঠেক তৈরি করা হয়েছে।"
অন্যদিকে, 'ইন্ডিয়া' জোট প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, "এই জোট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘুম উড়েছে। তিনি দুঃস্বপ্ন দেখছেন। যে কারণে প্রায় প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি ইন্ডিয়া জোটের বিরুদ্ধে নানা রকম মন্তব্য করছেন।" এদিকে এ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসাবে দেখতে চাইছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, "এটা তৃণমূল বলতে পারবে। কারা করছে, কেন করছে তারাই এই বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।" ঠিক তেমনি এ রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের যে আগের অবস্থান ছিল সেই অবস্থান আছে বলেও দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে, রাজ্যের শাসকের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের অবস্থান বদল হলে সবার আগে সাংবাদিক ডেকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে পারেন প্রিয়াঙ্কা, জল্পনা আরও বাড়ালেন অধীর
এছাড়াও একাধিক বিষয় নিয়ে এদিন মুখ খুলেছেন অধীর চোধুরী। তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, মালদা জেলার লাখ-লাখ পাটচাষি ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন। ঠিক মতো বৃষ্টি না-হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন। তারপরও সঠিক দাম পাচ্ছেন না। তাঁরা এখন ইনসিওরেন্স চাইছে। যদিও সরকার আগে দেবে বলেছিল। কিন্তু, এখন তা দেওয়া হচ্ছে না। গরিব দরিদ্র পাটচাষিদের অবস্থা খুব করুণ। তাঁদের ইনসিওরেন্সের আওতায় আনা হোক। পাট শিল্পের কারখানাগুলো রক্ষা করা হোক।" পাটচাষিদের মতো দুগ্ধ শিল্প নিয়েও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, "দুগ্ধ শিল্পও সমস্যার সম্মুখীন। ভাগীরথী মিল্ক ইউনিয়ন বিক্রির চেষ্টা চলছে। লোকসান দেখিয়ে অসাধু আধিকারিকরা বিক্রির ব্যবস্থা করছে। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। দ্রুত ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।"