কলকাতা, 18 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর মামলায় নয়া তথ্য তদন্তকারীদের হাতে ৷ সৌরভ চৌধুরীকে জেরা করে আরও 10-15 জনের নাম পেয়েছে পুলিশ ৷ আজ লালবাজার সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে ৷ তবে, এরা সকলেই অধরা বলে জানা গিয়েছে ৷ এই 15 জনের অধিকাংশই ভিন রাজ্যে গিয়ে আত্মগোপন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছে পুলিশ ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, ঘটনার দিন এবং আগেও এঁরা সকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে উপস্থিত ছিলেন ৷ প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনা বড় আকার ধারণ করার পর এরা সবাই হস্টেল ছেড়ে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ ৷
লালবাজার সূত্রে খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ব়্যাগিংয়ের ঘটনায় একাধিক পড়ুয়া জড়িত ৷ ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার হওয়া সৌরভকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন আরও অনেকে হস্টেলে উপস্থিত ছিলেন ৷ যে 9 জনকে মোট তিন দফায় গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের বাইরেও 10-15 জন রয়েছেন ৷ এরা সকলে প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর দিন হস্টেলেই ছিলেন ৷ কিন্তু, যখনই ঘটনাটি বড় আকার ধারণ করে, তখন এগকে একে এঁরা সবাই হস্টেল ছেড়েছেন ৷
পুলিশ ইতিমধ্যে, সেই সকল পড়ুয়ার নাম ও ঠিকানা জোগাড় করা শুরু করেছে ৷ তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ৷ তবে, অধিকাংশ ভিন রাজ্যে গিয়ে ঢাকা দিয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের ৷ অন্যদিকে, সৌরভ চৌধুরী এবং সপ্তক কামিল্যার ব্যবহার করা ল্যাপটপ এবং ফোন ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ ৷ মৃত ছাত্রের বাবার দায়ের করা খুনের মামলার প্রেক্ষিতে আরও তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা ৷
আরও পড়ুন:যাদবপুর কাণ্ডে ধৃত 6 জনের 12 দিনের পুলিশি হেফাজত
অন্যদিকে, যাদবপুর-কাণ্ডে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে ৷ যাদবপুর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ বৃহস্পতিবার ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চার ধরনা মঞ্চে আসেন শুভেন্দু ৷ সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয় ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় শুভেন্দু অধিকারী সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর, ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে ৷ সেই ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারী যাদবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করেছেন ৷ যদিও, এই নিয়ে লালবাজারের কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক মন্তব্য করতে চাননি ৷