কলকাতা, 12 এপ্রিল : দেশ জুড়ে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ৷ প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা লাখের গণ্ডি ছাড়াচ্ছে ৷ রাজ্য জুড়েও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা সংক্রমণ । ফের নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসনও । রবিবারই রাজ্যে চার হাজারের বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছে । সংক্রমণ উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে । অথচ মাস্ক পরার নিয়ম মানছেন না অনেকেই । কোভিড বিধিও মানা হচ্ছে না অনেক জায়গাতেই । এই অবস্থায় সোমবার নবান্ন থেকে এক নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ।
ভোট হয়ে যাওয়া দশটি জেলার প্রশাসনের সঙ্গে এদিন বৈঠক করেন মুখ্যসচিব । সেখানে করোনা ঠেকাতে '‘টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিটমেন্ট'’ এই তিন ক্ষেত্রেই নতুন স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হয়েছে । আজ মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, গত বছর করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যের হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তার চেয়েও 20 শতাংশ বেশি ব্যবস্থা নিতে হবে । সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে আগামী 24 ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো বদল করতে হবে। সেফ হাউসগুলোকে ফের সচল করার নির্দেশও দেওয়া হয় ।
কী কী বলা হয়েছে রাজ্যের কোভিডের বিরুদ্ধে পরিকল্পনাতে ? সংক্রমণের নিরিখে কনটেনমেন্ট জ়োন বাড়াতে হবে । কলকাতায় আরও বেশি মাইক্রোকনটেনমেন্ট জ়োন তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে । টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় গতি আনতে হবে । কলকাতায় এখন করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী । তার পরেই রয়েছে উত্তর 24 পরগনা । এই দুই জেলা তো বটেই, কলকাতা সংলগ্ন জেলাগুলিতেও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছে । এ বছর সংক্রান্তি ও পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে কোনও জাঁকজমক চলবে না । ছোট করে উৎসব পালন করতে হবে । কোভিড গাইডলাইন মেনে চলা বাধ্যতামূলক । কোভিড টেস্ট আরও বাড়াতে হবে রাজ্যে । বিশেষ করে রিয়েল টাইম আরটিপিসিআর টেস্ট বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ।
আরও পড়ুন :করোনার ঝুঁকি কমাতে দু’ঘণ্টার কম উড়ানপথে খাবার দেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের
এছাড়া করোনা টেস্টে পজিটিভ ধরা পড়লে ১৪ দিনের কোয়ারানটিন বাধ্যতামূলক । করোনা আক্রান্তরদের সংস্পর্শে আসাদের 72 ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করতে হবে। তার জন্য কনট্যাক্ট ট্রেসিং বাড়াতে হবে । কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ে শনাক্তদের আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। ভোট বাজারে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে সভা ও রোড শো করতে হলে কোভিড গাইডলাইন মেনে করার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন ।