পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

কাউকে অভুক্ত থাকতে দিতে নারাজ বরাহনগরের এই ব্যক্তিরা - Barahanagar

কেউ ব্যবসায়ী, কেউ চাকরিজীবী । তবে এঁদের প্রত্যেকের নেশা আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো । লকডাউনে সেই কাজ আরও গতি পেয়েছে ।

অভুক্ত থাকতে দিতে নারাজ ওরা
অভুক্ত থাকতে দিতে নারাজ ওরা

By

Published : May 3, 2020, 8:39 PM IST

বরাহনগর, 3 মে: কোনও রাজনৈতিক রং নেই, বিশ্বাসও নেই । বিপদে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে ওরা ভালোবাসে । বছরভর দৌড়ের এই ছবিটা লকডাউনে আরও গতি পেয়েছে । বরাহনগর বিধানসভা অঞ্চলে ওরা ছুটে বেড়াচ্ছেন ।

ওরা হলেন মানিক দাশগুপ্ত, সাহেব, শুভাশিস গুঁই, শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, সমীর দত্ত, নারু দত্ত, সেন্টু, পিন্টু, অভিজিৎ, সুবীর । কেউ ব্যবসায়ী, কেউ চাকরিজীবী । তবে এদের প্রত্যেকের নেশা আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো । লকডাউনে কাউকে অভুক্ত থাকতে দেওয়া যাবে না, এই সংকল্প নিয়ে ঘরবন্দী থাকার পরিবর্তে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন তাঁরা । সঙ্গে কখনও থাকছে চাল, ডাল, তেল, সয়াবিন । কখনও আবার রান্না করা ভাত, ডাল ডিমের ডালনা । এছাড়াও এলাকায় ক্রমাগত চলছে সচেতনতার প্রচার ।

বরাহনগরের 28 নম্বর ওয়ার্ড সিল করে দিয়েছে পুলিশ । কোরোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ওই ওয়ার্ডে। 29 নম্বর ওয়ার্ডে একটি আবাসনে একজন বৃদ্ধ মারা গেলেও মৃত্যুর কারণ কোভিড-19 কি না তা প্রমাণিত নয় । তবে সাবধানের মার নেই । তাই পুরো আবাসন স্যানিটাইজ় করা এবং সচেতনার প্রচারে খামতি রাখা হয়নি । জানিয়েছেন পেশায় বই প্রকাশক মানিক দাশগুপ্ত ।

বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার দেওয়া হচ্ছে
আবাসনের গল্পে যদি সচেতনতার প্রচারের কথা থাকে তাহলে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের খাবার না জোটার আতঙ্ক রয়েছে । সেইসব মানুষদের দরজায় পৌঁছে যাচ্ছেন মানিক, সাহেব, শুভাশিস, শঙ্কররা । সুবিধা-অসুবিধার খবর নিয়ে হাতে তুলে দিচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী । মানিক দাশগুপ্ত বলছিলেন, "এদের সবাই দিন আনি দিন খাওয়া মানুষ । পেশায় কেউ চর্মকার, ঘরামি বা দিনমজুর । আবার দৃষ্টিহীন মানুষও রয়েছেন । এই লকডাউনে রোজগার নেই মানে ঘরে খাবারও নেই । তাই এই বিপদে পাশে থাকার চেষ্টা করছি মাত্র ।"

আপাতত তালিকা বানিয়ে সেই মতো পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন । যাদের রোজকার খাবারের প্রয়োজন তাদের জন্য সেই মতো ব্যবস্থা করা হচ্ছে । যাদেরকে শুধুমাত্র চাল-ডাল পৌঁছে দিলেই হবে, তাদের জন্য সেটাই করা হচ্ছে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details