কলকাতা/বেনাপোল, 15 নভেম্বর: ভারত-বাংলাদেশ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের আইসিপি পেট্রাপোলের বিএসএফ জওয়ানদের বিশেষ সাফল্য। মলদ্বারে লুকানো 64 লক্ষ টাকার সোনা পাচার রোধ করল তারা। ধৃত ভারতীয় পাচারকারীর নাম ফয়জল আলি খান মহম্মদ ফলিল। তার বয়স 59 বছর। তিনি তামিলনাড়ুর রামনাথপুরম থন্ডি থানার নাম্বুথালাই-এর বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়েছে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে টেক্সটাইল রফতানিকারক হিসেবে কাজ করেন তিনি। আটক চোরাকারবারি ও বাজেয়াপ্ত সোনা পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য পেট্রাপোলের কাস্টমস বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএসএফ সূত্রের দাবি, এক হাজার 59 গ্রাম ওজনের দুটি সোনার বল পেস্ট আকারে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই সোনার বলগুলো সে মলদ্বারে লুকিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করছিল বলে দাবি বিএসএফের। আটক সোনার আনুমানিক মূল্য 64 লক্ষ চার হাজার 73 টাকা বলে জানা গিয়েছে ৷ বিএসএফ জানিয়েছে, আইসিপি পেট্রাপোলে আগত যাত্রীদের রুটিন তল্লাশির সময় বিএসএফ কর্মীরা যাত্রীর শরীরের নীচের অংশে কিছু ধাতব পদার্থের উপস্থিতির ইঙ্গিত পান। কর্তব্যরত কর্মীরা পুঙ্খানুপুঙ্খ চেকআপের জন্য তাকে এরপর শৌচালয়ে নিয়ে যান। তল্লাশির সময়, তার কাছ থেকে নলাকার আকৃতির দুটি সোনার পেস্ট উদ্ধার করা হয়েছে। দাবি, যাত্রী তার মলদ্বারে লুকিয়ে রেখেছিল ওই পেস্ট। এরপরই তাকে আটক করা হয় ৷
জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারি জানিয়েছে, সে মুম্বই থেকে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে টেক্সটাইল রফতানিকারক হিসেবে কাজ করে। গত 13 নভেম্বর তিনি মালয়েশিয়া থেকে ঢাকা হয়ে ভারতে ফেরার সময় বেনাপোল বাসস্ট্যান্ডে সিদ্দিকী নামে এক শ্রীলঙ্কার নাগরিকের সঙ্গে দেখা করেন। এই সোনা পাচারের জন্য 10 হাজার টাকা দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছে ওই ব্যক্তি। এরপর তিনি বেনাপোল ল্যান্ডপোর্টের পাবলিক শৌচালয়ে নিজের মলদ্বারে সোনা লুকিয়ে রাখেন।